যে সমস্ত বাঙালি অভিনেতা নিয়মিত মুম্বইয়ে কাজ করেন তাঁর অন্যতম ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। আরব সাগর পারের বাসিন্দা তিনি, বড় হয়েছেন গুজরাতে তবে বাংলার টান কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই তো ভালো কাজের সুযোগ পেলে বারবার ছুটে আসেন টলিউডে। বাঙালি দর্শক এবার ‘ফেলুদা’ হিসাবে দেখবে ইন্দ্রনীলকে। শুক্রবার মুক্তি পেতে চলেছে সন্দীপ রায়ের ‘হত্যাপুরী’। বাংলা সাহিত্যের আইকনিক গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ, ইন্দ্রনীলের কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন। তবে পেশাগত জীবনের পাশাপাশি গত কয়েকমাস ধরে ইন্দ্রনীলের ব্যক্তিগত জীবনও রয়েছে চর্চায়।
গত বছরই সামনে এসেছিল আলাদা থাকছেন ইন্দ্রনীল এবং তাঁর ‘স্ত্রী’ বরখা বিশত সেনগুপ্ত। এক ছাদের তলায় তাঁরা থাকেন না তা স্পষ্ট। কিন্তু ১৩ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙার পিছনের কারণটা কী? এই নিয়ে বারবার উঠে এসেছে ইন্দ্রনীল-ইশার সম্পর্কের কথা। ‘সোয়েটার’ নায়িকার প্রেমে পড়েছেন ইন্দ্রনীল, এই নিয়ে চর্চার শেষ নেই। সত্যি কি তাই? ফেলুদার শ্যুটিংয়েও নাকি ইশার সঙ্গে নিয়মিত ভিডিয়ো কলে ‘প্রেমালাপ’ চলত ইন্দ্রনীলের? এই রটনা নিয়ে মুখ খুললেন ইন্দ্রনীল।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, ‘এমন গুঞ্জন আমারও কানে এসেছে। তবে এই নিয়ে আমি মন্তব্য করিনি। ইশা সাহাও করেনি। কোনও তৃতীয় ব্যক্তি যদি আমাদের নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়, তাহলে সেই মামলায় আমাদের কিছু করার নেই।’ ইন্দ্রনীলের আরও সংযোজন, ‘আমি কার সঙ্গে চ্যাট করছি সেটা আমি ছাড়া কারুর জানবার কথা নয়, আমি ওতোটাও বোকা নই। অন্য কারুর ব্যক্তিগত জীবনে ঢুকে পড়বার মনোবৃত্তিটা আমার পছন্দ নয়’।
'তরুলতার ভূত' ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন ইশা-ইন্দ্রনীল। এই ছবির সেটেই নাকি ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দুজনের। তার জেরেই বরখার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় ইন্দ্রনীলের। ২০০৮-র ১ মার্চ সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন ইন্দ্রনীল-বরখা। দুজনের সম্পর্ক যে তলানিতে সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
বরখার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে কী জানালেন ইন্দ্রনীল? ‘হত্যাপুরী’র নায়ক বললেন, ‘এই নিয়ে কিছু বলতে চাই না’। তবে তাঁদের একমাত্র মেয়ে মীরা দুজনের কাছেই থাকে বলে জানিয়েছেন ইন্দ্রনীল। দুজনের প্রতিই মীরা ভীষণ ‘অ্যটাচড’।
‘হত্যাপুরী’র পাশাপাশি আগামিতে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবিতেও দেখা যাবে ইন্দ্রনীলকে। বক্স অফিসে তাঁর শেষ রিলিজ ছিল বলিউড ছবি ‘ডক্টর জি’। ছবিতে আয়ুষ্মান খুরানার তুতো দাদার চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে।