ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ অহনা দত্ত। এই কদিন আগেই ২১ বছরের জন্মদিন পালন করলেন অভিনেত্রী। তবে ছোট বয়সেই এসেছে খ্যাতি। শুরুটা হয়েছিল ডান্স রিয়েলিটি শো ডান্স বাংলা ডান্স দিয়ে। এরপর কাজ করছেন অনুরাগের ছোঁয়ার মতো সফল ধারাবাহিকে। ইতিমধ্যে বড় পর্দায় তাঁর প্রথম কাজের শ্যুটও হয়ে গিয়েছে। তবে এত সাফল্যের পরেও নেট-নাগরিকদের ট্রোলে পড়তে হয় তাঁকে। যার অন্যতম কারণ মায়ের সঙ্গে ঝগড়া।
অনুরাগের ছোঁয়ার রূপটান শিল্পী দীপঙ্কর রায়কে ভালোবেসেছেন অহনা। তবে এই সম্পর্কে মত দেয়নি অহনার মা। মা-মেয়ের ঝগড়ার কারণে, দুজনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। এখন আর থাকেন না পরিবারের সঙ্গে। বরং দীপঙ্করের সঙ্গে রয়েছেন লিভ ইন সম্পর্কে। নিজের মায়ের থেকে দূরে থাকলেও, প্রেমিকের মায়ের থেকে পান ভালোবাসা। জন্মদিনে শাশুড়ির আদর করে আশীর্বাদ করা, পায়েস রান্না করা, নানা পদে দুপুরের খাবার প্লেট সাজিয়ে দেওয়ার ছবি দিয়েছিলেন। তাতে অনেকেই করে ট্রোল। এমনকী শাপ-শাপান্ত করার পরিস্থিতিতেও পৌঁছে যান নেট-নাগরিক।
আরও পড়ুন: ছোট্ট একটা পুতুল বসে চেয়ারে! প্রথমবার মেয়ের মুখ দেখালেন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর
তবে অহনার পাশে যে ঢাল হয়ে আছেন দীপঙ্কর, তার প্রমাণ মিলল অভিনেত্রীর সদ্য আপলোড করা একটি পোস্ট থেকে। যদিও তা মজার ছলে বানানো। তাঁদের বানানো রিলে, দীপঙ্কর গলা মিলিয়ে বলছেন, ‘যতই তুমি ভুল করো, করে দেব মাফ। তুমি আমি দুজনে মিলে খাব সেভেন আপ। আই লাভ ইউ…’! দীপঙ্করের অভিনয়ের গুণ দেখে অহনা তো হেসে অস্থির। নেট-নাগরিকদের বেশ ভালো লেগেছে এই রিলটি। তারাও হাসির ইমোটিকনে ভরিয়ে দিয়েছেন কমেন্ট সেকশন।
আরও পড়ুন: ‘হিন্দুদের এখন ফ্যাশন মুসলিম হওয়ার’, ইদ পালন করে নেটপাড়ার ট্রোলে রূপাঞ্জনা
আরও পড়ুন: মোদীর সঙ্গে প্রেম করছেন শ্রদ্ধা কাপুর! এত ভালোবাসা যে ঘুমোতেই দিচ্ছেন না প্রেমিক
কদিন আগে অহনার পোস্টে একজন মন্তব্য করেন, ‘ইস নিজের মাকে ছেড়ে এই হজগম্বুসটার সঙ্গে কি করে থাকতে পারো গো? যে মা তোমার জন্য সারাটা জীবন যুদ্ধ করে গেল তাকে কি করে ভুলে যেতে পারো ?ভীষণ স্বার্থপর তুমি... আসলে অল্প বয়স তো,তাই আসল ভালোবাসা বোঝো না। কারণেই ছেলেটা যদি তোমাকে সত্যি ভালোবাসত, তাহলে তোমার মার অমতে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখত না, বা মা-মেয়ের সম্পর্কটাকে এভাবে নষ্ট হতে দিত না। টের পাবে টের পাবে পাবে মা,বাবাকে কষ্ট দিয়ে এই পৃথিবীতে কেউ কোনদিন সুখী হতে পারেনি। আমি তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছি না সাবধান করছি। যাতে তোমার পরবর্তী জীবন সুখের হয়।’
এতে অহনা শুধু লিখেছিলেন, ‘সাবধান করার জন্য ধন্যবাদ’।