সঙ্গে নেই মা, অহনাকে ননদই দিল সাধ! মজার খেলায় জানা গেল ছেলে হবে না মেয়ে?

চলতি বছরেই অভিনেত্রী অহনা দত্ত দেন সুখবর। সমুদ্র সৈকত থেকে ছবি পোস্ট করে প্রেগন্যান্সির খবর প্রকাশ্যে আনেন অভিনেত্রী। স্বামী দীপঙ্করকে পাশে নিয়ে এই সুখবর ভাগ করে নেন তিনি। তবে মায়ের অমতে বিয়ে করেছিলেন নায়িকা। তাই তাঁর জীবনের এত বড় একটা খবর পাওয়ার পরও মা চাঁদনী কোনও রকমের খোঁজ খবর নেননি। দেননি সাধও। তা নিয়ে কম প্রশ্নও ওঠেনি। সেই সব কিছুর জবাবও দিয়েছেন অভিনেত্রী। অন্যদিকে তাঁর শাশুড়িও জীবিত নেই, তাই এবার তাঁর ননদই অহনাকে সাধ দিলেন।

অহনা সাধের অনুষ্ঠানের আগে থেকে নানা ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সাধের আগে হাতে মেহেন্দি পরেন। তাছাড়াও নেইল আর্টও করান। এরপর নায়িকা সাধের বিশেষ অনুষ্ঠানে কীভাবে সেজেছিলেন সেই ছবিও সামনে আসে। এবার সাধ খাওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করলেন অহনা। তাঁর শ্বশুর বাড়ির এক বিশেষ নিয়মও তুলে ধরলেন।

বিশেষ এই অনুষ্ঠানে নীল রঙের পাড় দেওয়া সাদা সুতোর কাজ করা জাম রঙের ঢাকাই সঙ্গে ম্যাচিং ঘন জাম ও নীল রঙের ব্লাউজ, গলায় ভারী সোনার নেকলেস হাতে শাখা-পলা বাঁধানো সঙ্গে সোনার চুরি। কপালে লাল টিপ ও সিঁদুরে পরে বেশ মিষ্টি লাগছিল অহনাকে। এদিন নয় রকমের ভাজা, ভাত, সবজি ডাল, ইলিশ মাছ, পাবদা মাছ, চাটনি, পায়েস, দই, ন'রকমের মিষ্টি দিয়ে নায়িকার পাত সাজিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অগাস্টেই আসবে সন্তান, তাই ন'মাসের সাধ দিলেন অভিনেত্রীর ননদ।

তাছাড়াও অহনার শ্বশুর বাড়ির এক বিশেষ নিয়ম একটির পাত্রের নীচে প্রদীপ ও এক পাত্রের নীচে নোড়া রেখে দেওয়া হয় হবু মাকে না দেখিয়ে। তারপর হবু মাকে যে কোনও একটার ঢাকা খুলতে হয়। নিয়ম অনুসারে যদি পাত্রের নীচে প্রদীপ থাকে তবে মেয়ে আর যদি নোড়া থাকে তবে ছেলে বলে অনুমান করা হয়। এটা আসলে একটি লোকাচার। এই বিশেষ রীতি অহনাও পালন করেন। নায়িকা যে পাত্রটি তুলে নেন তার নীচে ছিল প্রদীপ তাই তাঁর মেয়ে হতে পারে এমনটাই বলতে শোনা যায় অভিনেত্রীর বাড়ির লোকজনকে।

এই ভিডিয়ো দেখে নেটিজেনরাও নানা মন্তব্য করেন। একজন লেখেন, ‘তুমি এই ভাবে সারাজীবন হাসি খুশি থাকো দিদিভাই। তোমার ভিডিয়ো আমার খুব ভালো লাগে। খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে।’

তবে এর আগে আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অহনা বলেছিলেন, 'আমি বা দীপঙ্কর (দীপঙ্কর রায়, অভিনেত্রীর স্বামী) কেউই মানি না এই সাধের বিষয়টা। আগেকার দিনে মেয়েদের সাধ খাওয়ানো যে ভাবনা থেকে সেটা এখন আর চলে না। বাচ্চা হতে গিয়ে কেউ যদি মারা যায় সেই ভাবনা থেকে তাঁদের সন্তান হওয়ার আগে সাধের খাওয়া খাওয়ানো হতো। তাঁর এই মন্তব্যের রেশ টেনে একজন লেখেন, ‘এর আগে তো খুব বলেছিল সাধ মানি না তাহলে ঢং করে সাধ খাওয়ার কী হল। সব করব শুধু নেকামি।’