দুনিয়ায় মানসিক শান্তির থেকে বড় আর কিছু নেই। যার কাছে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় সেই প্রিয় মানুষ। তেমনি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রত্যেক লড়াইয়ে পাশে রয়েছেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী।
এক রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চে ঐন্দ্রিলা জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় বার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর যখন তিনি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে, সেই সময় চোখ খুলতেই সামনে দেখতে পান সব্যসাচীকে। অভিনেত্রীর কথায়, সব্যসাচীকে সামনে দেখে তিনি যে কী মানসিক শান্তি পেয়েছেন তা তাঁর সমস্ত শারীরিক কষ্টকে মুহূর্তের মধ্যে ভুলিয়ে দিয়েছিল। দু'বার ক্যানসার জয়ী তিনি।
আচমকা ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অভিনেত্রীকে। ব্রেন স্ট্রোকের ফলে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছে তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআরআই করানো হয়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার ফলে তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসেকরা। অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত।
আরও পড়ুন: মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার, কড়া কড়া ওষুধ চলছে, কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা
হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছিল, ৪৮-৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না। তবে অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ‘১১টা ৫৫ নাগাদ ও চোখ খুলেছিল। শুনলাম হাতও নাড়িয়েছে। এটাই আমার কাছে সান্ত্বনার।’
এ দিকে প্রেমিকার জন্য গত তিন দিন ধরে হাসপাতালেই রয়েছেন সব্যসাচী। ছায়ার মতো ঐন্দ্রিলার পাশে রয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর মায়ের কথায়, সব্যসাচী ঐন্দ্রিলাকে অনেক ভালোবাসে, ‘গত তিন দিন ধরে হাসপাতালেই পড়ে আছে ছেলেটা। ও এখন পাগলের মতো হয়ে গিয়েছে। জানি না ও কী খাচ্ছে বা স্নান করছে কি না। আমার স্বামী বললেন, ও হাসপাতাল চত্বরে একটা জায়গায় পড়ে আছে।’
বোন ঐন্দ্রিলার অসুস্থ হওয়ার খবর শুনেই দিল্লি থেকে ছুটে এসেছেন অভিনেত্রীর দিদি ঐশ্বর্যা। মঙ্গলবার রাত ৩টে নাগাদ কলকাতায় এসেছেন। ঐন্দ্রিলার বাবা, তাঁর দিদি এবং সব্যসাচী প্রত্যেক মুহূর্তের অভিনেত্রীর সঙ্গে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিখা দেবী। তিনি জানিয়েছেন কেউ সব্যসাচীকে কিছু বললে ও বলছে, ‘আমাকে নিয়ে অত চিন্তা করতে হবে না।’