সবরকম চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্য়মে ঐন্দ্রিলাকে ফেরানোর চেষ্টা করেছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু চিকিৎসায় কোনও সাড়া মেলেনি। বুধবার সকালে পরপর হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। তারপর কেটেছে প্রায় ৩৬ ঘন্টা। কিন্তু অভিনেত্রীকে নিয়ে কোনওরকম আশার আলো দিচ্ছে না হাসপাতাল। তাঁদের তরফে বৃহস্পতিবার রাতেও স্পষ্ট জানানো হয়, ‘ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি একই রকম রয়েছে। নতুন করে অবনতি হয়নি। পুরোপুরি ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে।’
বৃহস্পতিবার দিনভর হাসপাতালে ঐন্দ্রিলাকে আগলে থেকেছে তাঁর পরিবার। আইসিইউ-তেই ঐন্দ্রিলাকে ঘিরে তাঁর মা, দিদি এবং সব্যসাচী। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ঐন্দ্রিলার মা এক মুহূর্তের জন্য মেয়ের ঘর থেকে বার হননি। সব্যসাচী বার কয়েক বাইরে এলেও তাঁর থমথমে মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে ঐন্দ্রিলার দিদিকে। মেয়েকে কীভাবে সুস্থ করে তোলা যায় তার জন্য এখনও ছোটাছুটি করছেন ঐন্দ্রিলার চিকিৎসক বাবা। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না ঐন্দ্রিলা, শরীর জুড়ে লাগানো অজস্র যন্ত্র। এর মাঝেই ঐন্দ্রিলার পছন্দের গান বাজছে ICU-তে। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে গল্পও করছে তাঁর পরিবার, তবে উলটো দিক থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসছে না।
প্রসঙ্গত. বুধবার রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর ভুয়ো খবর। এরপর ফেসবুকে সব্যসাচী লেখেন- ‘আরেকটু থাকতে দাও ওকে, এসব লেখার অনেক সময় পাবে।’
গত ১লা সেপ্টেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। এই সপ্তাহের শুরু থেকেই তাঁর পরিস্থিতি বিগড়েছে। গতকাল (বুধবার) পরপর হার্ট অ্যাটকের শিকার হন অভিনেত্রী, যা তাঁর ফিরে আসবার লড়াইকে আরও কঠিন করে দিয়েছে। তবুও মিরাকেলের আশায় বুক বাঁধছে তাঁর পরিবার।