হাসপাতালে গত ১৭ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা। গত দু-দিনের তুলনায় ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার সামান্য় উন্নতি হয়েছে, তবে এখনও অতি সঙ্কটজনক ঐন্দ্রিলা, শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনটাই খবর হাসপাতাল সূত্রে। যা শুনে কিছুটা হলেও মনে বল পাচ্ছেন ঐন্দ্রিলার ভক্তরা। তবে এখনও সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রয়েছেন ‘জিয়ন কাঠি’ নায়িকা।
অভিনেত্রীর মৃত্যুর ভুয়ো খবরও দু-দিন আগে ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। খানিক ক্ষোভ আর হতাশা থেকেই নায়িকার মনের মানুষ পালটা ফেসবুকে জানান, ‘আরেকটু থাকতে দাও ওকে..'। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় ঐন্দ্রিলার ‘গ্লাসগো কোমা স্কেল’ মাত্র ৩! সুস্থ মানুষের এই মাত্রা থাকা উচিত ১৫-র মধ্যে অন্তত ১৪। চোখের নড়াচড়া, অঙ্গ সঞ্চালনা, মৌখিক প্রতিক্রিয়া- এইগুলোর বিচারেই ‘গ্লাসগো কোমা স্কেল’-এ কোনও রোগীকে রেটিং দেওয়া হয়।
আসলে বুধবার সকালে পরপর বেশ কয়েকটি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন ঐন্দ্রিলা। মস্তিষ্ক আগেই সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করেছে, এরপর হৃদরোগের ধাক্কা সামলানোটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে মাত্র ২৪ বছর বয়সী অভিনেত্রীর জন্য। গত দু-দিন অভিনেত্রীর রক্তচাপ মারাত্মক ওঠানামা করছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কড়া কড়া অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে ঐন্দ্রিলার শরীর পুরো অসাড় হয়ে যায়। মুখে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। চোখের পাতাও নড়ছে না অভিনেত্রীর। যা চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছিল। কিন্তু গত দু-দিনের তুলনায় পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই জানা যায়, ব্রেন স্ট্রোকের পর নায়িকার মাথার যে পাশে অস্ত্রোপচার হয়েছিল ঐন্দ্রিলার, তার বিপরীত দিকে রক্ত জমাট বেঁধেছে। এরপর থেকেই দ্রুত ঐন্দ্রিলার পরিস্থিতি বিগড়োতে থাকে। এখনও অতি সঙ্কটজনক ঐন্দ্রিলা। তবু ‘মিরাকেল’ ঘটবেই, ‘ফিনিক্স’ হয়ে ফিরবেন ঐন্দ্রিলা, এমনটা বিশ্বাস তাঁর পরিবারের। তাই লড়াই থামাতে না-রাজ তাঁরা। অভিনেত্রীর আরোগ্য়া কামনায় শামিল গোটা বাংলা।