বলিউডের নাম পশ্চিমী দুনিয়ায় যে সব তারকা উজ্বল করেছেন, সেই তালিকায় শুরুর দিকেই রয়েছে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নাম। এই প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর ফিল্মি কেরিয়ারে অভিনয় করেছেন একাধিক হলিউড ছবিতে, যার মধ্যে অন্যতম গুরিন্দর চড্ডার ছবি ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস। ২০০৪ সালে এই ছবির প্রচারে মার্কিন মুলুকের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ডেবিড ল্যাটারম্যানের টক শো’তে হাজির হয়েছিলেন অ্যাশ। সেখানেই বেশ কিছু বাঁকা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এই নীল নয়না সুন্দরীকে।
নিজের দেশ, সংস্কৃতি এবং বলিউড নিয়ে ডেবিড ল্যাটারম্যানের বিদ্রুপ ও কটাক্ষের জবাব খুব শান্ত এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দিয়েছিলেন অ্যাশ। তেমনই এক প্রশ্ন ছিল, তুমি কি এখনও নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকো? জবাবে ঐশ্বর্য জানিয়েছিলেন, হ্যাঁ, বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকাটাই ভারতে শ্রেয় মনে করা হয়। সেটাই ভারতের সংস্কৃতি। তাছাড়া বাবা-মায়ের সঙ্গে ডিনার করতে আমাদের আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হয় না।
ঐশ্বর্যর এই অকপট উত্তর শুনে ভাষা হারিয়েছিলেন ল্যাটারম্যান। করতালিতে ঐশ্বর্যকে ভরিয়ে দিয়েছিলেন উপস্থিত দর্শকরা। এমনি এমনি যে ঐশ্বর্যকে ভারতের অন্যতম গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডরের তকমা দেওয়া হয়নি তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
অভিষেকের সঙ্গে বিয়ে, এমনকি প্রেম সম্পর্কে জড়ানোর আগের ভিডিয়ো এটি। তবে ঐশ্বর্যর স্বামীকেও হামেশাই এই বিষয় নিয়ে ট্রোলিংয়ের মুখ পড়তে হয়েছে। কারণ অমিতাভ ও জয়া বচ্চনের মতো নামী তারকার পুত্র তিনি।
বছর দুয়েক আগে একবার টুইটারে অভিষেককে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন বাবা-মার বাড়িতেই থাকেন তিনি? জবাবে জুনিয়ার বি জানিয়েছিলেন, হ্যাঁ, থাকি কারণ এটা আমার কাছে গর্বের বিষয় যে আমি বাবা-মায়ের পাশে আছি,যেমনভাবে তাঁরা আমার জন্য রয়েছেন। তুমিও এমনটা চেষ্টা করে দেখতে পারো, দেখো নিজের ব্যাপারে একটু গর্ববোধ করার সুযোগ পাবে।
২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে ঐশ্বর্যর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিষেক বচ্চন। ২০১১ সালে আরাধ্যার জন্ম দেন ঐশ্বর্য। মায়ের দায়িত্ব পালন করতে কাজ থেকেও দীর্ঘ বিরতি নিয়েছিলেন অ্যাশ। ২০১৫ সালে জসবা ছবির সঙ্গে রূপোলি দুনিয়ায় কামব্যাক করেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।