আপতত কিছুটা স্বস্তিতে বচ্চন পরিবার ও তাঁদের অনুরাগীরা। করোনাকে জয় করে সোমবারই ঘরে ফিরেছেন ঐশ্বর্য ও আরাধ্যা। সোমবার বিকালেই বচ্চন বধূ ও তাঁর কন্যার করোনা নেগেটিভ হওয়ার খবর সামনে আসে। যদিও এখনও করোনার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অমিতাভ ও অভিষেক।
মঙ্গলবার রাতে অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। করোনা আক্রান্ত বচ্চন পরিবারের জন্য অনুরাগীদের প্রার্থনা ও শুভেচ্ছা বার্তায় আপ্লুত বচ্চন বধূ। এদিন ইনস্টা পোস্টে ভক্তদের ধন্যবাদ জানান ঐশ্বর্য। এদিন মা-মেয়ের জুটি হাত জোড় করে জানাল ধন্যবাদ। ঐশ্বর্য দু হাত জুড়ে তৈরি করেছিলেন একটি হৃদয়, অন্যদিকে আরাধ্যা হাত জুড়ে ছিল নমস্কারের ভঙ্গিতে। ছবির ক্যাপশনে ঐশ্বর্য লেখেন, আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ..প্রার্থনা,চিন্তা,শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসার জন্য.. আমার প্রিয় আরাধ্যা, পা (অমিতাভ), এবি (অভিষেক) এবং আমরা জন্য… আমি সত্যি অভিভূত এবং আজীবন ঋণী থাকব। ভগবান আপনাদের মঙ্গল করুক। আমার ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা সবসময় আপাদের সঙ্গে রয়েছে। একদম মন থেকে, অন্তর থেকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ..ভালো থাকুন,সুরক্ষিত থাকুন, ভগবান মঙ্গল করুন, অনেক ভালোবাসা..'
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে অমিতাভ ও অভিষেক সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান আপটেড দিলেও এই নিয়ে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দেননি ঐশ্বর্য। এই প্রথম প্রিয় নায়িকার কাছ থেকে বার্তা পেয়ে আপ্লুত ঐশ্বর্য ভক্তরা।
অমিতাভ ও অভিষেক দুজনেই গত ১৮ দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে। গত ১১ জুলাই করোনা ধরা পড়ে বিগ বি ও জুনিয়র বচ্চনের। পরের দিন ঐশ্বর্য,আরাধ্যার করোনা রিপোর্টও পজিটিভ আসে। যদিও উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় শুরুতে বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু ১৭ জুলাই নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও তাঁর কন্যা আরাধ্যা।
বউমা ও নাতনি পুরোপুরি সুস্থ,করোনাকে হারিয়ে দিয়েছে তাঁরা। তাঁদের শরীরে আর কোভিড-১৯ এর অস্তিত্ব নেই। এই খবর জানা মাত্রই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বর্ষীয়ান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। তিনি নিজেই জানিয়েছেন এই খবর শোনামাত্রই কেঁদে ফেলেন তিনি। তবে ছোট্ট আরাধ্যা আশ্বাস দিয়েছে দাদুকে,তিনিও শীঘ্রই করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরে আসবেন, নিজের ব্লগে জানিয়েছেন অমিতাভ।