ক্লাস ফোর ফেল বিজয় সালগাঁওকরের কাছে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছিল গোয়ার পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে। আইজি-র ছেলের নিঁখোজ হওয়ার রহস্য সমাধান করতে পারেনি পুলিশ। উলটে বিজয় সালগাঁওকরের পরিবারের উপর অত্যচারের অপরাধে সাসপেন্ড হতে হয় আইজি মীরা দেশমুখকে। সাত বছর পর নতুন করে খুলছে সেই মামলা। সোমবার প্রকাশ্যে এল ‘দৃশ্যম ২’-এর ট্রেলার।
বিজয়ের পরিবারের হাতেই খুন হয়েছে ছেলে, কার্যত নিশ্চিত মীরা দেশমুখ। এবার সেই পুরোনো মামলার জট খুলতে তৈরি ‘মীরা’ তাবু, সঙ্গী আরও এক নতুন অফিসার। যে ভূমিকায় রয়েছেন অক্ষয় খান্না। ২০১৪ সালের ২রা অক্টোবর ঠিক কী ঘটেছিল? সেই রহস্যভেদে কোনওরকম খামতি রাখতে চায় না সে।
বড় মেয়ের (ইশিতা দত্ত) হাতে একটা অনিচ্ছাকৃত খুন, আর সেই খুনকে ধামাচাপা দিতে একটা পারফেক্ট প্ল্যান কষেছিল ক্লাস ফোর পাশ কেবল অপারেটর বিজয় সালগাঁওকর (অজয় দেবগণ)। কারণ মেয়ের জীবন রক্ষার্থে এই অপরাধের বোঝা বইতে প্রস্তুত সে। পুলিশ শত চেষ্টা করেও তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করতে ব্যর্থ হয় তাঁকে, এবার নতুন মোড় নিচ্ছে সেই মামলা। কারণ ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না’। ট্রেলারে বিজয়ের স্বীকারোক্তি, ‘সত্যিটা কোনওদিন চাপা দিয়ে রাখা চায় না, কারণ তা সামনে আসবেই’। অন্যদিকে মীরা দেশমুখের সাফ কথা, ‘আমি ওকে ক্লাস ফোর ফেল ভেবে আন্ডারএস্টিমেট করে ফেলেছিলাম, আর ও এক মা-কে আন্ডারএস্টিমেট করে ফেলেছে, এটাই ওর ভুল’।
ট্রেলারের শেষে শোনা গেল বিজয় ক্যামেরার রেকর্ডার অন করে বলছে, ‘মেরা নাম বিজয় সালগাঁওকর হ্যায়, অউর এ মেরা কনফেশন হ্যায়’। (আমার নাম বিজয় সালগাঁওকর, আর এটা আমার জবানবন্দি'। তাহলে কি সত্যিই সমীরকে খুনের কথা, তার লাশ গায়েব করার কথা এবং পুলিশ স্টেশনের নীচেই সেই লাশ কবর দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেবে বিজয়? নাকি গল্পে রয়েছে নতুন কোনও টুইস্ট?
অজয়, তাবু, শ্রেয়া শিরিন ছাড়াও ‘দৃশ্যম ২’-এ থাকছেন অক্ষয় খান্না, ইশিতা দত্ত, রজত কাপুর, ম্রুণাল যাদবরা। দৃশ্যম পরিচালনা করেছিলেন প্রয়াত পরিচালক নিশিকান্ত কামাথ। ছবির দ্বিতীয়ভাগ পরিচালনা করছেন অভিষেক পাঠক। ১৮ই নভেম্বর মুক্তি পাবে এই ছবি। মোহনলাল অভিনীত সুপারহিট মালায়ালি ছবি ‘দৃশ্যম ২’-এর রিমেক এটি। অনেকেই আমাজন প্রাইম ভিডিয়োয় অরিজিন্যাল ছবিটি দেখে ফেলেছেন, তাই এই সাসপেন্স থ্রিলারের রিমেক ভার্সনে নতুন কী চমক থাকবে সেটাই দেখবার।