‘শিবায়’-এর ব্যর্থতা ভুলে ফের একবার পরিচালকের আসনে অভিনেতা অজয় দেবগণ। শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে অজয় দেবগণ পরিচালিত ‘রানওয়ে ৩৪’। ঘোষণার পর থেকেই এই ছবি ঘিরে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। কারণটাও খুব পরিষ্কার। একফ্রেমে অমিতাভ বচ্চন, অজয় দেবগণকে দেখবার সুযোগ, থাকছেন রকুল প্রীত সিংও। তবে একথা কারুর অজানা নয় শুরুতে এই ছবির নাম ছিল ‘মে ডে’। গোটা শ্যুটিং হয়েছে এই নামেই, পোস্ট প্রোডাকশন চলাকালীন ছবির নাম বদলে দেন পরিচালক।
খারাপ আবহওয়ার কারণে একটি বিমানকে বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই বিমানের চালকের ভূমিকায় ছবিতে রয়েছেন অজয় ও রকুল। এবং পরবর্তী সময়ে এই ঘটনার তদন্তে থাকা অফিসারের চরিত্রে দেখা যাবে অমিতাভ বচ্চনকে। মে-ডে (MayDay) শব্দটি আদতে সেই আপৎকালীন উচ্চারিত শব্দ যা, আন্তর্জাতিকভাবে সব দেশের সব পাইলট মেনে চলেন। বিমানের পাইলটরা যে রেডিয়ো কমিউনিকেশনের মধ্যে দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করেন, তাতে সামনেই বিপদ বোঝাতে তিনবার এই সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করা হয়। সেইসব কথা ভেবেই ছবির নাম ‘মে-ডে’ রাখা হয়েছিল, একদম থিম মিলিয়ে।
কিন্তু পরবর্তীকালে অজয় এবং গোটা টিম উপলব্ধি করে এই বিষয়টির সঙ্গে সাধারণ মানুষ অবগত নয়। ইটাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে অজয় জানান, ‘একটা খুব মজার ঘটনা রয়েছে। মানুষজনের এই ছবির নাম নিয়ে কোনও ধারণাই ছিল না। ভেবেছিলাম হয়ত ছবির প্রচারের সময় বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু একদিন একজন খুব শিক্ষিত প্রবীণ এক মানুষ আমার কাছে জানতে চান মে-ডে ছবিটা শ্রম দিবসকে কেন্দ্র করে? সেই সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি ছবির নামটা বদলে ফেলতে হবে’।
মে-ডে থেকে নাম বদলে কেন ‘রানওয়ে ৩৪’ করা হল? অজয়ের কথায়, ‘রানওয়ে ৩৪ একদম উপযুক্ত নাম, কারণ যখন সবাই ছবিটা দেখবে বুঝবে যে পুরো গল্পটাই ওই রানওয়ে ৩৪-এর আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। প্রত্যেক এয়ারপোর্টের আলাদা নম্বর থাকে রানওয়ের, আপনি বুঝবেন কেন সে ভুল রানওয়ে বেছে নিয়েছিল’।!
জানা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে জেট এয়ারওয়েজের দোহা থেকে কোচি-গামী একটি বিমানের সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই ছবিটি নির্মিত। নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে, সবরকম প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়ে কীভাবে একজন পাইলট প্রায় ১৫০জন যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছিল তাই উঠে আসবে এই ছবিতে।