বেজায় চটেছেন অভিনেতা অজয় দেবগণ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবেশি এবং রোগীদের হাতে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্তব্যরত নার্স,চিকিত্সরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। দিন কয়েক ধরেই সংবাদমাধ্যমে এমন খবর সামনে এসেছে। সেই প্রসঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন শান্ত স্বভাবের বলি তারকা। রবিবার টুইটারে দেওয়ালে তিনি লেখেন, ‘বিতৃষ্ণ এবং ক্ষুদ্ধ.. তথাকথিত শিক্ষিত মানুষরা তাঁদের প্রতিবেশি চিকিত্সকদের আক্রমণ করছে বিনা কারণে, শুধুমাত্র কল্পনাপ্রসূত ধারণার জন্য। এই ধরণের অসংবেদনশীল মানুষরা অপরাধীর চেয়েও নিকৃষ্ট প্রকৃতির’।
অজয়ের ফলোয়াররাও একবাক্যে মেনে নিয়েছেন অজয়ের এই তত্ত্ব। ‘এইসব মানুষদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করা উচিত’ মত এক ভক্তের। অন্য একজন লেখেন, ‘স্যার আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন, ওই সব মানুষরা ১০০ শতাংশ অপরাধী’।
সম্প্রতি দিল্লিতে একজন ব্যক্তি দুজন চিকিত্সকে আক্রমণ করে তাঁরা ‘করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে’ এমন ভ্রান্ত অপবাদ এনে। সেই সময় বাড়ির বাইরে ঘরের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনছেন সেই দুই চিকিত্সক। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সেই আক্রমণকারী প্রতিবেশীকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও গত সপ্তাহে ভোপাল AIIMS-এর একদল জুনিয়ার চিকিত্সদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ডিউটি থেকে ফেরার পথে পুলিশি হেনস্থার শিকার হন তাঁরা।
এইরকম সংকটজনক পরিস্থিতিতে যে চিকিত্সকরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে তাঁদের নিগ্রহের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও। পাশাপাশি হু’য়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রত্যেক চিকিত্সককে পার্সোন্যাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা PPE প্রদানের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।