তামিল ছবি ‘কৈথি’র হিন্দি রিমেকে কাজ করার কথা আছে অজয় দেবগনের। সেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসেন না অভিনেতা। বিতর্কেও নাম জড়ায়না খুব একটা। তবে এবার তিনি ধর্মীয় স্থানে পুজো দিতে গিয়ে ট্রোলারদের চোখে পড়লেন। তাঁকে নিয়ে নিন্দে, আলোচনা, সমালোচনা সবই হল!
কেরলের বিখ্যাত শবরীমালা মন্দিরে পুজো দেন অজয়। এই মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার আগে যেসব রীতিনীতি পালন করতে হয়, সেগুলোও করেছিলেন। অজয়ের শবরীমালা মন্দিরে যাওয়ার বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার মধ্যে একটা ভিডিয়োতে তাঁকে পাল্কি চেপে মন্দিরে যেতে দেখা গিয়েছে। আর এতেই চটেছে আমজনতা।
বলিউডের ‘ফিটেস্ট’ অভিনোদের তালিকায় নাম আসে অজয়ের। তাঁর বাবা ছিলেন নাম করা স্টান্ট ডিরেক্টর। অজয়ও প্রায় প্রতিটা অ্যাকশন সিনেমায় স্টান্ট নিজেই করে থাকেন। আর সেই অভিনেতা কেন পাহাড়ি জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে আর পাঁচটা পূণ্যার্থীর মতো পায়ে হেঁটে যাননি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ‘এভাবে পুজো দিতে যাওয়ারই বা কি দরকার ছিল’, ‘বয়স্করা একমাত্র এভাবে মন্দিরে যায়’, ‘অনলাইনে পুজো দিলেই পারত’, ‘সত্যি খুব শক্ত মন্দির যাওয়া… ভগবানের উচিত ছিল নেমে অজয়ের সঙ্গে দেখা করা’, ‘ভগবানকে ভিডিয়ো কল করলেও তো পারতেন’-র মতো নানা কমেন্ট পড়েছে ভাইরাল হওয়া সেইসব ভিডিয়োতে।
যদিও অজয়ের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, শারীরিক সমস্যা ও মন্দির কর্তৃপক্ষের কথা মেনেই অজয় পাল্কিতে করে উঠেছেন, সিড়ি দিয়ে নয়। অসল মন্দির কর্তৃপক্ষের ভয় ছিল তারকাকে নিয়ে ভিড় জমতে পারে, হুড়োহুড়ি পড়ে যেতে পারে। যাতে বিঘ্নিত হবে অজয়ের সঙ্গে মন্দিরের অন্যান্য় পূণ্যার্থীর নিরাপত্তা। সঙ্গে পায়ে একাধিক চোট রয়েছে ‘তানহাজি’ অভিনেতার। আর সেই কারণে তাঁকে চিকিৎসকরা দীর্ঘ সময় না হাঁটারও পরামর্শ দিয়েছেন। আপাতত তিনি পায়ের চিকিৎসার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন। আর তাই এই পথ বেছে নিয়েছিলেন পুজো দিতে!