দু'বছরের ওপর সময় ধরে 'থ্যাঙ্ক গড' ছবি প্রস্তুতির পরিকল্পনা করেছিলেন পরিচালক ইন্দ্র কুমার। ছবিতে মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে অজয় দেবগন এবং সিদ্ধার্থ মালহোত্রা-কে। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন রকুল প্রীত সিং-ও। গত বছর করোনার সময়ে হওয়া লকডাউনের সময়কে কাজে লাগিয়ে শেষ করেছিলেন ছবির চিত্রনাট্য লেখার কাজও। জানা গেছে,ছবিটি একটি জনপ্রিয় ড্যানিশ ফিল্মের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত। শেষপর্যন্ত ছবির সব প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মুম্বইয়ে ' 'থ্যাঙ্ক গড'-এর শুভ মহরৎ-ও সেরে ফেলা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল 'মিশন মজনু'-র শ্যুটিং শেষ করে সিদ্ধার্থ যোগ দেবেন এই ছবির শ্যুটিং। সেই অনুযায়ী গত এপ্রিল মাসে ফেলা হয়েছিল ছবির শ্যুটিং শিডিউল। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপের ফলে মুম্বই জুড়ে ঘোষণা হয়েছে লকডাউন। তাই আপাতত সেই শ্যুটিংয়ের পরিকল্পনা বিশ বাওঁ জলে। তাই বলাই বাহুল্য, পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার ফলে ক্ষতিও হয়েছে সেই পথ ধরে। তাই এরমধ্যেই শ্যুটিং না শুরু হওয়ার ফলে ছবির প্রযোজনা সংস্থার ক্ষতি হয়েছে প্রায় দু'কোটি টাকা।
'থ্যাঙ্ক গড' এর শ্যুটিং ইউনিট ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের খবর, ছবির প্রথম দফার শ্যুটিংয়ের স্বার্থে একটি বিরাট সেট তৈরি করা হচ্ছিল ফিল্ম সিটি-তে,যার খরচ অন্তত দু'কোটি টাকা। কাজ যখন প্রায় শেষের দিকে সেই সময় হানা দে করোনা। মহারাষ্ট্র সরকার বাধ্য হয় লকডাউন ঘোষণা করতে। তবে প্রথমেই সেই লকডাউনের নীতি কড়াভাবে ঘোষণা না করা হলেও ছবি নির্মাতা সংস্থারা আঁচ পেয়েছিল দীর্ঘসময়ের জন্য হতে চলেছে লকডাউন। কারণ বাড়তে পারে করোনার প্রকোপ। শেষপর্যন্ত হলোও তাই। এরপর কেন্দ্র কাছে দু'টি পথই খোলা ছিল। এক, ফিল্মসিটিতে তৈরি হওয়া ওই সেটের জন্য প্রতিদিন ফ্লোরের ভাড়া গুণে যাওয়া নয়তো সেট সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া। এরপর শেষেই 'অপশন'-তাই বেছে নেন 'থ্যাঙ্ক গড'-এর নির্মাতারা। নইলে ক্ষতির টাকার পরিমাণ যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তো তা বলাই বাহুল্য।