অক্ষয় কুমারের কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন প্যাডম্যান। দেখতে দেখতে মুক্তির দু বছর পার করে ফেলল এই ছবি। আধুনিকতার আড়ালে আজও ভারতীয় সমাজব্যবস্থার অন্দরে লুকিয়ে থাকা কুসংস্কারগুলির নগ্ন চেহারাটা টেনে খুলে দিয়েছিল এই ছবি। ঋতুস্রাবের মতো বিষয়-যা আজও আমাদের সমাজে ট্যাবু বলেই বিবেচ্য আর বাল্কির এই ছবিতে সেই বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলেন অক্ষয়-সোনম-রাধিকারা।
২০১৮ সালের ২৮ মে, মেন্সট্রুয়াল হাইজিন ডে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। যার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতেই অক্ষয়ের উপর রেগে গেলেন পত্নী তথা প্যাডম্যান প্রযোজক টুইঙ্কেল! কী এমন ভুল করলেন আক্কি?
টুইঙ্কেল টুইট বার্তায় অক্ষয়ের উদ্দেশে লেখেন, 'দূর..তুমি অবশ্যই আমার পরবর্তী প্রযোজনার অংশ হচ্ছ না! প্যাডম্যান’ কিন্তু কেন? কারণ টুইঙ্কেলের কথায় অক্ষয়ের কাছে তিনি ‘ঘরকি মুরগি’। তাই প্যাডম্যানের সাফল্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে টুইটারে অক্ষয় তাঁর দুই কো-স্টার সোনম ও রাধিকাকে নিয়ে কথা বললেও নামও উল্লেখ করলেন না তাঁর প্রযোজক পত্নীর!
অক্ষয় টুইটারে লেখেন, 'প্যাডম্যানের দু বছর হয়ে গেল,এবং আমি সত্যি খুব গর্বিত যে আমরা সমাজে ট্যাবু হিসাবে গণ্য বিষয় নিয়ে কাজ করে একটু হলেও সচেতনতা গড়তে পেরেছি। এই মেন্সট্রুয়াল হাইজিন ডে আমি আশা করছি আমরা আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম মেনস্ট্রুয়াল ঘিরে সমাজে প্রচলিত ট্যাবু ভাঙতে’। এই পোস্টে তিনি ট্যাগ করেন,তাঁদের দুজনের সঙ্গে ছবিও পোস্ট করেন তবে বেমালুম ভুলে যান টুইঙ্কেল খান্নার কথা!
টুইঙ্কেলের টুইট দেখে তড়িঘড়ি নিজের ভুল বুঝতে পারেন অক্ষয়। প্রকাশ্যে ক্ষমাও চান স্ত্রীর কাছে। বলেন, দয়া করে পেটে লাথি মেরো না। ভুলে গেছি টিমকে ট্যাগ করতে। আমি ক্ষমা চাইছি প্রযোজক টুইঙ্কেল, পরিচালক আর বাল্কি এবং যে মানুষটি ছাড়া প্যাডম্যান সম্ভব হত না-অরুণাচলম মুরগুনাথমের কাছে।
এই ছবির সঙ্গেই ১৮ বছর পর বলিউডে ফিরে আসেন টুইঙ্কেল। ২০০০ সালে বক্স অফিসে মেলা মুখ থুবড়ে পড়বার পর অভিনয় কেরিয়ারে ইতি টানেন টুইঙ্কেল এবং বিয়ে করে নেন অক্ষয় কুমারের সঙ্গে। প্যাডম্যানের সঙ্গে প্রযোজক হিসাবে নতুন জার্নি শুরু হয় টুইঙ্কেলের, মিসেস ফ্যানিবোনস মুভিস ব্যানারে এই ছবি প্রযোজনা করেন টুইঙ্কেল। তামিলনাড়ুর সমাজকর্মী অরুণাচলম মুরগুনাথমের জীবন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই ছবি তৈরি করেন পরিচালক আর বাল্কি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়োয় এই ছবি। জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চেও সম্মানিত হয় টিম প্যাডম্যান। জিতে নেয় সেরা সামাজিক ছবির পুরস্কার।