ট্রেলারই বাজিমাত করছে অক্ষয় কুমারের ‘পৃথ্বীরাজ’। সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বত্র চর্চা খিলাড়ি কুমারের আপকামিং এই ছবির। ‘পৃথ্বীরাজ’ ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টের একাধিক ভিডিয়ো ঘোরাফেরা করছে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকে। দিল্লির সিংহাসনে বসা ভারতের শেষ হিন্দু সম্রাটের বীরত্বের এই কাহিনি রুপোলি পর্দায় তুলে ধরতে চলেছেন পরিচালক ডঃ চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী।
ট্রেলার লঞ্চে যথেষ্ট আবেগপ্রবণ দেখালো অক্ষয়কে। অভিনেতা স্পষ্ট জানান এই ছবিটিকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, এটা দেখে পড়ুয়ারা অনেককিছু শেখবার সুযোগ পাবে। এই ইভেন্টে এক সাংবাদিক পৃথ্বীরাজ চৌহানকে নিয়ে অক্ষয়ের জ্ঞান ঝালিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, পৃথ্বীরাজ গুজরাত না রাজস্থান, কোথায় জন্মেছিলেন?
এর জবাবে খিলাড়ি কুমার সপাটে বলেন, ‘এই প্রশ্নটা অর্থহীন। উনি হিন্দুস্তানে জন্মেছিলেন। উনি ভারতমাতার সুযোগ্য পুত্র ছিলেন, এটাই সবচেয়ে জরুরি’।
ডঃ চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদীর এই ছবি দ্বাদশ শতাব্দীতে চাঁদ বরদাই-এর ‘পৃথ্বীরাজ রাসো’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। অক্ষয় জানান, পরিচালক তাঁকে এই বইটি খুব মন দিয়ে পড়বার অনুরোধ করেছিলেন। অভিনেতার কথায়, 'বইটি শেষ করবার পর আমি উপলব্ধি করি, পৃথ্বীরাজ চৌহান একজন কত বড় যোদ্ধা ছিলেন'।
ছবিতে আক্কির বিপরীতে থাকছেন বিশ্ব সু্ন্দরী মানুষী চিল্লার। এই ছবির সঙ্গেই বলিউডে জার্নি শুরু করবেন ২০১৭ সালে দেশকে মিস ওয়ার্ল্ডের তাজ এনে দেওয়া মানুষী। প্রবল পরাক্রমী বীরযোদ্ধা পৃথ্বীরাজের পাশাপাশি প্রেমিক পৃথ্বীরাজকেও এই ছবিতে দেখব আমরা। পৃথ্বীরাজ-সংযুক্তার প্রেমকাহিনির উদাহরণ আজও টানা হয়, জনশ্রুতিতে বিখ্যাত হয়ে রয়েছে এই প্রেমিক যুগল। কনৌজের রাজা জয়চন্দ্রের কন্যা ছিলেন সংযুক্তা।
নিজের দেশ, নিজের মাতৃভূমিকে বিদেশি শক্তির হাত থেকে বাঁচাতে যে লড়াই লড়েছিলেন চৌহান বংশের এই রাজা, তাই এই ছবির মূল উপজীব্য। তরাইনের যুদ্ধ, মহম্মদ ঘুরির সঙ্গে পৃথ্বীরাজের সংঘাত সবই উঠে আসবে আদিত্য চোপড়া প্রযোজিত এই ছবিতে।
অক্ষয়-মানুষী ছাড়াও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন সোনু সুদ ও সঞ্জয় দত্ত। মহম্মদ ঘুরির ভূমিকায় অভিনয় করছেন মানব ভিজ। আগামী ৩রা জুন হিন্দির পাশাপাশি তামিল,তেলুগু ভাষাতেও মুক্তি পাবে এই ছবি।