বছরে কমকরে ৩-৪টে ছবি মুক্তি পায় অক্ষয় কুমারের। এই নিয়ে টানা পাঁচবার বিনোদন জগত থেকে সবচেয়ে বেশি কর দিয়েছেন তিনি। সেই ডেবিউর সময় থেকেই যেভাবে পরিশ্রম করতেন, এখনও তাই। তবে অন্য তারকাদের মতো সেটে সারাদিন থাকেন না। ৮ ঘণ্টার বেশি কাজই করেন না। এমনকী, সবথেকে বেশি ছুটিও নেন।
২০২২-এ ইতিমধ্যেই দুটো ছবি মুক্তি পেয়েছে অক্ষয়ের ‘বচ্চন পাণ্ডে’ আর ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’। ১১ অগস্ট মুক্তি পাচ্ছে ‘রক্ষা বন্ধন’। যদিও বছরটা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। কারণ, পরপর দুটো ছবি ফ্লপ করেছে। ‘রক্ষা বন্ধন’ নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা দেখছে না সিনেমা বিশেষজ্ঞরা।
ETimes-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্ষয় জানান, ‘কেরিয়ারের শুরু থেকে, বিশেষ করে প্রথম দিনগুলোয় লোক আমাকে জিজ্ঞেস করত কেন আমি বছরে চারটে ছবি করি। আমাকে অনেকেই পরামর্শ দিয়েছে আমার একটু ধীর হওয়া উচিত। প্রযোজনা বা অভিনয়ের সংখ্যা একটু কমানো উচিত। আপনাদের আমি বলে দেই আমি কিন্তু বিনোদন জগতে সবার থেকে বেশি ছুটি নিই, রবিবার কখনো কাজ করি না। শনিবার হাফ ছুটি নিই।’
‘আনন্দ এল রাই নিজেও এই নিয়ে মন্তব্য করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন আমার কাজ করার ধরন তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে দিয়েছে। কারণ আমি মাত্র ৮ ঘণ্টা সেটে থাকি, কিন্তু সেই ৮ ঘণ্টার একটা মিনিটও নিজের সেটে থাকি না। আমি সেটে অ্যাক্টিভ থাকি পুরো সময়টা। আমার ৮ ঘণ্টা তাই সবার ১৪-১৫ ঘণ্টার মতো। সিনেমার প্রতি এটাই আমার কমিটমেন্ট।’
‘রক্ষা বন্ধন’-এর পর ‘রাম সেতু’-তে দেখা যাবে অক্ষয়কে। ইমরান হাসমি, ডায়ানা পেন্টি আর নুসরত বারুচার সঙ্গে কমেডি ড্রামা সেলফি মুক্তি পাবে ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। তামিল ছবি ‘সুরারি পত্রু’ ছবিতেও কাজ করার কথা আছে অক্ষয়ের রাধিকা মদনের বিপরীতে।
প্রসঙ্গত, অক্ষয়ের একটা ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যালে। যেখানে দেখা গিয়েছে রক্ষা বন্ধনের প্রচারে তিনি এসেছেন সুপারস্টার সিঙ্গারের স্টেজে। সোনির তরফ থেকে শেয়ার করা প্রোমোয় দেখা গিয়েছে ‘সুপারস্টার সিঙ্গার ২’-র প্রতিযোগী ঋতুরাজ গাইছেন কিশোর কুমারের গান ‘ফুলো কা তারো কা’। আর সেই পারফরমেন্সের মাঝেই বেজে ওঠে অক্ষয়ের বোনের গলা। অভিনেতাকে ‘রাজু’ সম্বোধন করে পঞ্জাবিতে বলেন, ‘কাল একজনের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ মাথায় এল ১১ অগস্ট রাখি। তুমি সবসময় আমার পাশে থেকেছ, তা ভালো হোক বা খারাপ। একজন বাবা হিসেবে, বন্ধু হিসেবে, ভাই হিসেবে তোমাকে পাশে পেয়েছি। সবকিছুর জন্য অনেক ধন্যবাদ।’ আর বোনের মুখে একথা শুনে কেঁদে ফেলেন আক্কি।