'স্কাই ফোর্স'-এর বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে নির্মাতাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বাণিজ্য বিশ্লেষক কোমল নাহতা। অভিযোগ, সিনেমাহল বুকিং করে রেখে কৃত্রিমভাবে ছবির বক্স অফিস কালেকশন বাড়ানো হচ্ছে। অক্ষয় কুমারের স্কাই ফোর্সের বক্স অফিস রিপোর্ট তাই কতটা সঠিক তা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠছে। যদিও কোমল নাহাতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন 'স্কাই ফোর্স' পরিচালক।
'স্কাই ফোর্স' ও 'ছাবা'
একটি ভিডিওতে বাণিজ্য বিশ্লেষক কোমল নাহতা অভিযোগ করেছেন, অক্ষয় ও বীর পাহাড়িয়া অভিনীত 'স্কাই ফোর্স' ছবির নির্মাতারা সিনেমার দারুণ একটা বক্স অফিস রিপোর্ট তুলে ধরার জন্য সিনেমাহলগুলি নিজেরাই বুকিং করে রেখেছেন। একইভাবে ভিকি কৌশল ও রশ্মিকা মান্দানা অভিনীত ম্যাডক ফিল্মসের আরেক প্রযোজনা 'ছাবা'র বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছিলেন কোমল।
আরও পড়ুন-বউ আলিয়া ও মেয়ে রাহাকে বিলাসবহুল বেন্টলি গাড়িতে কোথায় চললেন রণবীর? এই গাড়ির দাম জানেন?
কী বলছেন ‘স্কাই ফোর্স’ পরিচালক সন্দীপ কেউলানি?
সম্প্রতি নিউজ ১৮কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক সন্দীপ কেওলানি ম্যাডক ফিল্মস-এর দুটি ছবির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, যে একটি ছবির বক্স অফিস কালেকশন দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক।
সন্দীপ বলেন, ‘ছাবা বা স্কাই ফোর্সের ক্ষেত্রে যে বক্স অফিস কালেকশন দেখানো হচ্ছে, সেটি মোটেও ভুয়ো নয়। এই কালেকশন দর্শকের ভালোবাসার ফল। ছবিটি প্রায় ২০ দিন আগে মুক্তি পেয়েছে। আজও আমি ইনস্টাগ্রাম, টুইটার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের কাছ থেকে সুন্দর বার্তা পাচ্ছি, ভালোবাসা পাচ্ছি।’
সন্দীপের কথায়, ‘একটা ছবি তৈরি হয়ে গেলে এবং সেটা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পর আমাদের কাজ শেষ হয়ে যায়। তবে সিনেমা কত উপার্জন করছে তা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে কেউ মনে রাখে না। আপনাদের প্রিয় ছবি 'মুন্না ভাই' এর বক্স অফিস কালেকশন সম্পর্কে যদি জিগ্গেস করি, তাহলে প্রায় কেউই সেটা বলতে পারবে না। অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদে, সিনেমার বক্স অফিস কালেকশন দর্শকদের কাছে কোনও বিষয়ই নয়। সেটা যদি ভালো ছবি হয়, তাহলেই সেটা মানুষের মনে থেকে যায়।'
সন্দীপের কথায়, ‘ এই বক্স অফিস কালেকশন বড়জোর ১৫ দিন বা ১ মাসের খেলা, তারপর সবাই সেটা ভুলে যায়। আমরা কেন মানুষকে বলতে যাব যে ছবিটি কত আয় করছে? কোনও ছবি যদি আরও বেশি ব্যবসা করে তাহলেই কি সেটা ভালো? আসলে এই বিষয়টিই অপ্রাসঙ্গিক। দর্শক সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা সিনেমাটি দেখতে চান কিনা! এই কালেকশনের চর্চাটা বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরাই শুরু করেছিলেন। ভালো সিনেমা হলে মানুষ যেভাবেই হোক দেখবেন। যদি কোনও ছবি ৩০০ কোটি টাকা আয় করে, তাহলেই যে সেটা আপনার পছন্দ হবে, এমনটাও নয়। শুধুমাত্র সিনেমাটি কত আয় করেছে সেই ভিত্তিতে আপনার মতামত বদলাবে না। দর্শক জানেন তাঁরা কী দেখতে চায়।’