শোনা গেল 'ফায়ার…' বলে চিৎকার। তবে পর্দায় কিছুই দেখা গেল না পুরোটাই কালো। লেখা ভেসে উঠল, ‘এই দৃশ্য ভয়ঙ্কর… প্রদর্শনের উপযুক্ত নয়।’ শুধু শোনা গেল গুলির শব্দ। আর লোকজনের আর্তনাদ। বাঁচার তাগিদে, কেউ দরজা খুলে দিতে বললেন, তবে দরজা খুলল না। একের পর এক গুলিতে প্রাণ গেল অগনিত মানুষের। ঘটনাটি ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল তারিখে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর শহরের। হ্য়াঁ, ঠিকই ধরেছেন সেই ভয়াবগ জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড।
২৪ জানুয়ারি সোমবার মুক্তি পাওয়া অক্ষয় কুমারের আগামী ছবি 'কেশরী-২'-এর টিজারের শুরুতেই উঠে এসে সেই ঘটনার কথাই। ঘটনা প্রসঙ্গে ভয়েস ওভারে শোনা গেল, ‘এটা তো শুধু ৩০ সেকেন্ডের ঘটনা। ইংরেজরা সেদিন টানা ১০ মিনিট ধরে গুলি চালিয়েছিল। তারপর ১২ ঘণ্ট সেই মৃতদেহগুলি ফেলে রাখা হয়েছিল। যাতে শকুন সেই দেহগুলি খেয়ে ফেলে।’ পর্দায় ফুটে উঠল সেদিনের সেই নৃশংস হত্যার সাক্ষী, সেই গুলির চিহ্ন লেগে থাকা দেওয়াল।
আর এরপরই দেখা মেলে অক্ষয় কুমারের। প্রার্থনা শেষে যিনি আইনজীবীর বেশে আদালতে পৌঁছে যান। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য। ব্যস ওই পর্যন্তই। উঠে এসেছে'কেশরী-চ্যাপ্টার ২'-এর টিজারে। বাকিটা ট্রেলারে পরিষ্কার করা হবে।
অক্ষয় কুমার নিজেই তাঁর অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবির টিজার পোস্ট করেছেন এবং ক্যাপশনে লিখেছেন, 'তিনি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদেরকে খেলায় তিনি পরাজিত করেন। কোথায় যেতে হবে বলে দিলেন। এই গণহত্যার কথা ভারতকে অবশ্যই জানতে হবে। তাজা করে আঁকা এই বিপ্লব।
টিজারের পাশাপাশি অক্ষয় কুমার জানিয়েছেন, ১৮ এপ্রিল সিনেমাহলে মুক্তি পাবে ছবিটি। প্রসঙ্গত, জলি 'এলএলবি-থ্রি' ছবিতেও অক্ষয়কে দেখা যাবে একজন আইনজীবীর ভূমিকায়। আর কেশরী চ্যাপ্টার ২র টিজার দেখে অনেকেই জানিয়েছেন, যে এটা তাঁদের গায়ে কাঁটা দিয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কে কী বলছেন…
অক্ষয় কুমারের পোস্টের কমেন্টে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘ওহ মাই গড। আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ’ওহ গড এটা কেশরী ১-এর থেকেও দারুণ হতে চলেছে। কারোর মন্তব্য, 'কনটেন্ট কুমার ইজ ব্যাক'। কেউ আবার ছবিটির প্রশংসা করে লিখেছেন- ‘ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দারুণ’। আরও এক অনুরাগী লিখেছেন- ‘খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে। আসলেই অসাধারণ একটি সিনেমা। এর জন্য অপেক্ষা করে আছি।’ সব মিলিয়ে এই টিজার ভিডিয়ো নিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুরাগীরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।