সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় , খুদে অনুরাগীদের সামনে স্ত্রী টুইঙ্কলকে নিয়ে সরাসরি এক জবরদস্ত সাক্ষাত্কারের মুখোমুখি হলেন বলি তারকা অক্ষয় কুমার । এটি নাকি তাঁর জীবনের অন্যতম কঠিন ইন্টারভিউ-এমনই দাবি করে খুদেদের মুখোমুখি হটসিটে বসে অক্ষয় জানান তাঁর প্রিয় খাবার থেকে ফেভারিট সুপার হিরো , জীবনের লক্ষ্য থেকে বড় হয়ে ওঠার গল্প।
সেশনের প্রথম প্রশ্নই ছিল- স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে গেলেই বমির উদ্রেক হয় কেন ? উত্তরে খুদে অনুরাগীকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের একাধিক ভালো দিক বর্ণনা করে সুস্থ এবং ফিট থাকার পরামর্শ দেন অভিনেতা । তবে টুইঙ্কল জানান তাঁর ‘হোয়াটস ইন ইওর ডাব্বা’ বইটিতে স্বাস্থ্যকর এবং একই সঙ্গে সুস্বাদু বেশ কিছু খাবারের রেসিপি দেওয়া রয়েছে | যেমন আভোকাডো টোস্ট । কিন্তু বাস্তবে অভিনেতা তাঁর সন্তানকে বানিয়ে দেন চকোলেট পরোটা , যা খেতে সুস্বাদু কিন্তু মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়, ফাঁস করেন টুইঙ্কেল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে অক্ষয় দাবি করেন মাঝেমধ্যে তিনি চকোলেট পরোটা বানান। ক্যামেরার উল্টো দিকে থাকা মেয়ে নিতারাকেও দেখা যায় বাবার সঙ্গে দিতে।
পরিবারের বেস্ট শেফ কে ? এই প্রশ্নের উত্তরে যাবতীয় কৃতিত্ব নিজেই নিয়ে নেন খিলাড়ি । দাবি করেন টুইঙ্কল ওমলেটও বানাতে পারেন না । তবে টুইঙ্কলের মতে এই শিরোপা পাওয়া উচিৎ তাঁদের পুত্র আরভের । ' যেভাবে ও আমার মাথা ভাজা ভাজা করে , ওর কীর্তিতে যেভাবে আমার রক্ত টগবগ করে ফুটতে থাকে , তাতে পুত্রের চেয়ে বড় শেফ আর কেউ হতেই পারেনা ' , মজার ছলে জানান তিনি । তবে আরভ যে খুব সুন্দর রাজমা , পিৎজা এবং ডেজার্ট তৈরী করতে পারেন তা স্বীকার করে নেন অক্ষয় পত্নী । সেক্ষত্রে নিজেকে দ্বিতীয় সেরা শেফ দাবি করে লেখিকা স্ত্রীর সম্পর্কে খিলাড়ি কুমার জানান ' টুইঙ্কল শুধুই গল্প বানাতে পারেন ' ।
নিজের প্রিয় সুপার হিরো হিসেবে টারজানের নাম উল্লেখ করেছেন অভিনেতা , কারণ প্রযুক্তির পরিবর্তে সাধারণত নিজের শক্তি ও বুদ্ধির ওপরেই বেশি নির্ভরশীল এই সুপারহিরো ।
এছাড়াও সময় মতো খাবার না খেলে সত্যিই পুলিশ বা ভূত আসে কিনা , এই প্রশ্নের উত্তরে আরভের ছেলেবেলায় কিভাবে ভয় দেখিয়ে খাওয়াতেন সে গল্প শেয়ার করেন টুইঙ্কল । তবে অক্ষয় এইভাবে শিশুদের ভয় দেখানোর বিরুদ্ধে । কারণ এতে তাদের মানসিকতায় বিরূপ প্রভাব পড়ে বলেই মত অভিনেতার । জানান নিতারা ( ৮ ) কিন্তু মোটেই এসব বাজে ভূত-প্রেতের গল্পে ভয় পায়না ।
অনেকসময় ছেলেমেয়ের অনেক কথা, অনেক যন্ত্রণাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে ওঠে না নানা বিধ কারণে । এরজন্য মাঝেমধ্যেই নিজেকে অপরাধী মনে করেন টুইঙ্কল ।
একজন খুদে অনুরাগী এমনও প্রশ্ন করে- অক্ষয়ের মা বাবা কি তাঁকে স্ট্যান্ট করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন ? উত্তরে অভিনেতা জানান , ' স্টান্ট করা কখনোই খারাপ নয় , তাঁর মা বাবাও এই বিষয়ে উৎসাহ দিতেন , কিন্তু মূল বিষয় হলো সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ভাবে কাজটি সম্পন্ন করা । আঘাত লাগতে পারে এমন কোনও স্টান্টকে কখনোই সমর্থন করেন না বলে জানান আক্কি । সর্বোপরি এই কাজ করতে নামার আগে অবশ্যই জীবন বীমা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পর্দার প্যাডম্যান ।