অঙ্কুশ হাজরার ‘ওগো বিদেশিনী’ ছবিটি মনে আছে? সেখানে যে ‘মেম’কে দেখেছিলেন তাঁর কি স্বপ্ন জানেন? টলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী হতে চান তিনি, আর লক্ষ্য নিয়েই কলকাতা আসতে চলেছেন আগামী বছর। ভাবা যায়!
অ্যালেকজান্দ্রা টেলর, ব্রিটিশ মডেল তথা অভিনেত্রীকে প্রথমবার অংশুমান প্রত্যুষের ছবি ওগো বিদেশিনীতে দেখা গিয়েছিল। তাঁর বিপরীতে ছিলেন অঙ্কুশ। অভিনেত্রী আজও বিশ্বাস করতে পারেন না যে তাঁর প্রথম ছবিতেই তাঁকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। এই ছবিতে তিনি এতটাই সহজাত অভিনয় করেছিলেন যে সকলের থেকেই তিনি প্রসংশা কুড়িয়েছিলেন।
অ্যালেকজান্দ্রা এর আগে মিস আয়ারল্যান্ড হয়েছিলেন। এখন তিনি চান টলিউডে আরও ভালো কাজ করতে। তিনি চান কলকাতায় এসে থাকতে এবং আরও বেশি সংখ্যক ছবি করতে।
বর্তমানে অ্যালেকজান্দ্রা টেলর লন্ডনে রয়েছেন। তবে তিনি আগামী জানুয়ারি মাসে কলকাতায় আসতে চলেছেন। কিন্তু আচমকা বাংলা ছবি কেন? এই বিষয়ে অ্যালেকজান্দ্রা জানান 'আমি ভারতীয় ছবি পছন্দ করি। এই দেশের নাচ, গান, পারিবারিক টান, বন্ধন আমার খুব ভালো লাগে। আমি সবসময় ভারতীয় ছবিতে অভিনয় করতে চেয়েছি। আর যখন সেই সুযোগ পেয়েছিলাম মনে হয়েছিল সব স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেল। আমি ৬ বছর অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার অভিনয়ে একটা ব্যাচেলর এবং দুটো মাস্টার ডিগ্রি আছে। আমার সামনে এখন অনেক সুযোগ কিন্তু আমি সঠিকটা বেছে নিতে চাই। যখন অংশুমান আমাকে ছবির স্ক্রিপ্টটা পাঠিয়েছিল পড়ে মনে হয়েছিল এটাই, এটার জন্যই তো অপেক্ষা করে ছিলাম।' তিনি আরও বলেন, 'ওগো বিদেশিনী ছবিতে কাজ করার পর আমি হিন্দি, তেলেগু ছবিতে কাজ করেছি। এই ছবিগুলো ২০২৩ সালে মুক্তি পেতে চলেছে। আমি আরও বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় ছবিতে কাজ করতে চাই।'
কিন্তু একজন বিদেশিনী হয়ে বাংলা ভাষা শিখতে অসুবিধা হয়নি তাঁর? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, 'আমার মনে হয় বাংলা ভীষণ মিষ্টি ভাষা। আমি শেখার চেষ্টা করছি। আমার যদি স্ক্রিপ্ট ভালো লাগে আমি যে কোনও ছবিতে কাজ করতে পারি।' যে বাংলা ভাষাকে অভিনেত্রী এত ভালোবাসেন, সেই বাংলার কলকাতায় থেকে তাঁর কেমন লেগেছিল? তিনি বলেন, 'প্রথমবার ভয় লেগেছিল। একজন ব্রিটিশ হয়ে ভারতীয় ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করব, কেমন লাগবে সবার সেটা নিয়ে চিন্তা হতো। কিন্তু সবাই যখন সেটাকে ভালো ভাবে গ্রহণ করল খুশি হয়েছিলাম। লন্ডনের সংস্কৃতি অনেকটাই আলাদা ভারতের তুলনায়, তবুও এখানকার মানুষরা ভীষণ আন্তরিক হন। একটা ভালোবাসার, স্নেহের পরিবেশ মেলে যেখানেই যাই। এখানে আমি আমার দ্বিতীয় বাড়ি খুঁজে পেয়েছি।'