বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Tunisha Sharma Death Case: অবসাদগ্রস্ত তুনিশার দেখভালের ভান করত শিজান,একাধিক মেয়ের সঙ্গে ছিল সম্পর্ক: পুলিশ

Tunisha Sharma Death Case: অবসাদগ্রস্ত তুনিশার দেখভালের ভান করত শিজান,একাধিক মেয়ের সঙ্গে ছিল সম্পর্ক: পুলিশ

স্বস্তি নেই শীজানের

শিজান খানের পুলিশ হেফজাতের মেয়াদ বাড়ল আরও একদিন। আদালতকে পুলিশ জানালো শিজানের অবহেলা মানিসকভাবে অবসাদগ্রস্ত তুনিশাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়। 

শিজানের সঙ্গে ব্রেক-আপের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তুনিশা শর্মা। শুরু থেকেই অ্যানসাইটি ডিসওর্ডারের শিকার ছিলেন অভিনেত্রী। মনোচিকিৎসকদের পরামর্শও নিতেন তিনি। শুক্রবার মুম্বইয়ের আদালতে পুলিশ জানায়, শিজান সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার পরেও একই সিরিয়ালে কাজ করতে হচ্ছিল তুনিশা, যা প্রয়াত অভিনেত্রীর মানসিক পরিস্থিতি আরও বিগড়ে দেয়।

গত ২৪শে ডিসেম্বর সোনি সব টিভির ধারাবাহিক ‘আলিবাবা-দাস্তান-এ-কবুল’-এর সেটে আত্মঘাতী হন ২০ বছরের এই অভিনেত্রী। তুনিশার মৃত্যুর পরদিনই নায়িকার মা, প্রাক্তন প্রেমিক শিজানের বিরুদ্ধে মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনেন। সেইদিনই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তুনিশার সহ-অভিনেতা। এদিন আদালতে শিজানের আরও দু-দিনের হেফাজত চায় মুম্বই পুলিশ। সওয়াল-জবাবের পর শিজানের আরও একদিনের পুলিশ কাস্টডি মঞ্জুর করেছে আদালত। 

এদিন পুলিশ আদালতে জানায়, ‘তুনিশা খুব সংবেদনশীল ছিল। অ্যানসাইটি ডিসওর্ডারে ভুগত প্রয়াত অভিনেত্রী। অভিযুক্ত শিজান স্বয়ং তিনজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিল তুনিশাকে। তুনিশার মানসিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সবটা জানত অভিযুক্ত, জেনেই সম্পর্কে জড়িয়েছিল এবং তারপর সেই সম্পর্ক ভেঙে দেয় ওর ইচ্ছার বিরুদ্ধে’। 

পুলিশ আরও জানায়, ‘ব্রেক আপের পরেও একই শ্যুটিং সেটে প্রতিদিন শিজানের সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছিল তুনিশাকে। স্বভাবতই পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। খুব কষ্টে সময় কাটছিল তুনিশার’। পুলিশের কথায়, সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার পর তুনিশার ‘কেয়ারিং ফ্রেন্ড’ হওয়ার ভান করত শিজান। পাশাপাশি একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল, সেই বিষয়গুলোই তুনিশাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়। 

এদিন শিজানের আইনজীবী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে পুলিশের হাতে কোনও প্রমাণ নেই। তুনিশার মায়ের বায়নের ভিত্তিতে হেফাজতের মেয়াদ একদিন বেড়েছে। উনি দাবি করেছেন তুনিশাকে চড় মেরেছিল শিজন। ১৫ মিনিট ওদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল বা আদেও কথা হয়েছিল কিনা তা কেউ জানে না। শ্যুটিং সেটে সিসিটিভি রয়েছে, সবাই জানে আমার মক্কেল কোথায় ছিলেন’। অন্য মহিলার সঙ্গে শিজানের সম্পর্কের ব্যাপারেও পুলিশের হাতে কোনও প্রমাণ নেই বলে দাবি করেন শিজানের আইনজীবী। 

বন্ধ করুন
Live Score