বলিউড তারকার বিয়েতে নিরাপত্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি হবেই, এ আর নতুন কী! আর বিয়েটা যদি খোদ ‘কাপুর’ পুত্র রণবীর আর ‘ভাট’ কন্যা আলিয়ার হয়, তাহলে তো কথাই নেই। সম্প্রতি রণবীর-আলিয়ার বিয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন মুম্বইয়ের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তাকর্মী ইউসুফ ইব্রাহিম। যিনি কিনা অবশ্য শুধু আলিয়া-রণবীর নয়, ক্যাটরিনা-ভিকি এবং বরুণ-নাতাশা সহ আর বেশ কয়েকজন তাবড় তাবড় তারকার বিয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলে।
তবে কি জানেন আলিয়া-রণবীরের বিয়েতে নিরাপত্তা দিতে হিমসিম খেতে হয়েছিল ইউসুফ ইব্রাহিমকে। তাঁকে চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল? সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এবিষয়েই মুখ খুলেছেন সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট ইউসুফ।
প্রসঙ্গত আলিয়া এবং রণবীরের বিয়ের অনুষ্ঠান একান্তই পারিবারিক সদস্যদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। আর তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানের বাইরে প্রায় ৩৫০ জন মিডিয়া কর্মী অপেক্ষা করছিলেন।
নিরাপত্তাকর্মী ইউসুফ ইব্রাহিমের কথায়, 'আমাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন বিয়ে ছিল এটা। সেখানে মিডিয়া হাউসগুলোর অন্তত ৩৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি কোম্পানি থেকে কমপক্ষে ১০ জন লোক এসেছিল। এরপরে, তাঁদের অনুরাগীরাও তাঁদের বাড়ির বাইরে জড়ো হয়েছিলেন। একই কোম্পানি তাঁদের প্রতিটি আঞ্চলিক চ্যানেল থেকে চারজন করে লোক পাঠিয়েছিল। গোটা পালি হিল জুড়ে শুধুই মানুষের ভিড় ছিল। পালি হিলের দুই দিকে যাওয়ার উভয় রাস্তায় মিডিয়া ও ভক্তদের দ্বারা পূর্ণ ছিল। ভিড় এত বেশি ছিল যে আমাদের তাঁদের বিল্ডিং থেকে বের হওয়া অতিথিদের গাড়ির পিছনে দিকে রাস্তা পর্যন্ত দৌড়তে হয়েছিল। এটি ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে উঠেছিল। কারণ বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিরাও সেলিব্রিটি ছিলেন। এতটাই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয় যে ও আবাসনের অন্যান্য বসবাসকারী লোকজনও বিরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রচণ্ড বিরক্ত ছিলেন।
ইউসুপ জানান, তাঁদের বিয়েতে ৬০ জন নিরাপত্তাকর্মী সবসময় কাজ করে গিয়েছেন ইউসুফের কথায়, ‘আমরা প্রতিটি শিফটে প্রায় ৬০ জন লোক ছিলাম এবং আমাদের শিফট ছিল আট ঘণ্টার। তবে আমরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করেছি। প্রায় পাগলের মতো অবস্থা ছিল। ওই বিল্ডিংটিতে ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য শুধু একটাই গেট রয়েছে, তাই সবাইকে একই গেট দিয়ে ঢুকতে হচ্ছিল। আর সেই জনাকীর্ণ রাস্তা দিয়ে আমাদের সমস্ত আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে যেতে হয়েছিল। আর অতিথিরা সবাই ছিলেন সেলিব্রেটি। সেই রাতে সংবাদমাধ্যমও যেন পাগল হয়ে গিয়েছিল। আমি আমার অর্ধেক ছেলেকে ইউনিফর্ম পরিয়ে রেখেছিলাম এবং বাকিদের সিভিল ড্রেসে রেখেছিলাম যাতে তাঁরা এটি ভালভাবে পরিচালনা করতে পারে। তাঁরা আমাকে সমস্ত আপডেট দিত। শুনেছিলাম মিডিয়ার লোকজন নাকি পাঁচিল বেয়ে ওঠারও পরিকল্পনা করে রেখেছিল, ছবি তোলার জন্য। তাই আমি তাঁদের দেওয়াল ঢেকে দেওয়ার নির্দেশ দিলাম। এভাবেই আমরা ম্যানেজ করেছি।’
ইউসুফ আরও জানান যে তিনি আলিয়া ভাটকে তাঁর প্রথম সিনেমা স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার-এর সময় থেকে চেনেন। আর ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানির পরে রণবীর কাপুরের সঙ্গে কাজ শুরু করেছিলেন।