মা হওয়ার পর আলিয়া প্রথম যে ছবির কাজে হাত দেন তা হল জিগরা। অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছে ভাসান বালা-র এই ছবি। অভিনেত্রী হিসাবে ফের এবার নিজের জাত চেনালেন আলিয়া। বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এল জিগরার হাড়হিম করা ট্রেলার।
আলিয়ার কট্টর সমালোচক যতই নেপোটিজম ইস্যুতে তাঁকে বিদ্ধ করুক না কেন, মহেশ ভাট কন্যার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না। আলিয়া জিগরা-র ট্রেলারে আরও একবার তা প্রমাণ করেছেন সেই কথা। এই ছবির প্রেক্ষাপট দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক। ছবিতে বেদাং রায়না অর্থাৎ অঙ্কুরের দিদির চরিত্রে রয়েছেন আলিয়া, এবং সেটাই তাঁর একমাত্র পরিচয়। ভাই-কে রক্ষা করতে একজন দিদি কতদূর যেতে পারে সেই কাহিনি এই ছবিতে উঠে আসবে।
তিন মিনিটের ভিডিওতে কখনও আলিয়া স্নেহশীল দিদি, কখনও তিনি অ্যাকশন মুডে, কখনও তিনি ইমোশন্যাল আবার কখনও লক্ষ্যে স্থির। ভাইকে বিদেশের কারাগার থেকে বের করে আনতে প্রস্তুত আলিয়া, ভাইয়ের পর সেখানে চলছে অকথ্য নির্যাতন। ট্রেলারের শুরুতেই অঙ্কুরের ফোন আসে দিদির কাছে। অজান্তেই কোনও অপরাধের জালে জড়িয়ে পড়েছে সে। আলিয়া একের পর এক প্রশ্ন করে, ‘তুই কিছু স্পর্শ করেছিস? কবীর তোর ফোন থেকে কোনও ফোন করেছিল? ব্লাড স্যাম্পেল নিলে তা ক্লিন আসবে তো?’
পরের দৃশ্যেই ফুটে উঠে আদালতের দৃশ্য। তিন মাসের মধ্যে ইলেক্ট্রোকশন অর্থাৎ তড়িতাহত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয় অঙ্কুরকে। ভাইকে জেল ভেঙে বের করে আনা ছাড়া তাঁকে বাঁচানোর আর কোনও রাস্তা খোলা নেই আলিয়ার কাছে। একটা গোটা দেশের পুলিশ-প্রসাশনের চোখে ধুলো দিয়ে সে পারবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে? সেই কাহিনি নিয়েই এই ছবি
ট্রেলারের ঝলকে বেদাং-এর পারফরম্যান্সের ঝলকও নজর কাড়ল। সম্প্রতি জুনিয়র এনটিআর উল্লেখ করেছেন যে একটি নির্যাতনের দৃশ্যে বেদাংয়ের অভিব্যক্তি খাঁটি সোনা ছিল। ভাই-বোনের চরিত্রে দারুণ মানিয়েছে আলিয়া ও বেদাং-কে একবাক্যে মেনে নিয়েছে নেটপাড়া।
আলিয়ার হৃদয়ের টুকরো তাঁর একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান তাঁর ভাই। সত্যা কি পারবে অঙ্কুরকে জেল থেকে বার করে আনতে? সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে ১১ অক্টোবর।