ট্রাইয়ের নীতি অনুসারে বৃদ্ধি হয়েছে কেবল পরিষেবার মাসিক সার্ভিস চার্জ। তাঁরই প্রতিবাদে বুধবার ‘অল বেঙ্গল কেবল টিভি অ্যান্ড ব্রডব্যান্ড অপারেটরস ইউনাইটেড ফোরামের’ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল মহাজাতি সদনে।
তাঁদের অভিযোগ, বৃদ্ধি পেয়েছে কেবল পরিষেবার মাসিক সার্ভিস চার্জ। অধিক সমস্যার তৈরি করেছে জিএসটি। ফলে বহু মানুষ কেবল সংযোগ পুনঃনবীকরণ করছে না। বদলে বড় কোম্পানীরা এসে ফাইবার অপটিকের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে পরিষেবা। এর ফলে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন কেবল অপারেটর্সরা।
সারা ভারতে এক কোটির বেশি মানুষ কেবল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ত্রিশ বছর আগে মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন মিলে তৈরি করেছিলেন এই ব্যবসা। কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে বলছে মানুষের কাছে স্বল্প খরচে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে। ব্রডকাস্টার টু কাস্টমার মডেল মানতে নারাজ কেবল অপারেটররা। তাঁদের দাবি, আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন কেবল অপারেটররা, সেই সময় সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়ায়নি।
তাঁদের আরও দাবি, বর্তমানে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করতে হবে। আগের মতই, ২৫০ টাকা করতে হবে কেবিলের চার্জ। তাতেই সমস্ত চ্যানেল দেখাতে হবে গ্রাহকদের। দুঃস্থ কেবল অপারেটরদের সম্মান ও চিকিৎসার পদক্ষেপ নিতে হবে ট্রাইকে।
তাঁদের অভিযোগ, ট্রাই শুধু সিগনাল দেয়। বাদ বাকি সব খরচ অপারেটরদের। নিজেদের টাকার ব্যবসাকে ট্রাই বিক্রি করে দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে অনুমতি না নিয়েই বড় কোম্পানিকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। আগে অপারেটররা, কম পক্ষে ৩০ শতাংশ সংযোগের হিসাব দেখাত না সরকারকে। তাঁদের একচেটিয়া ব্যবসা এখন আর নেই। এখন সেট টপ বক্স বাধ্যতামূলক হওয়ায় গ্রাহকদের সব হিসাব পৌঁছে যায় ট্রাইয়ের কাছে।
এদিনের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট কনভেনর তাপস কুমার দাস, চন্দ্রনাথ পাইন, শংকর মণ্ডলরা। তাঁদের দাবি মানা না হলে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে, দিল্লির আন্দোলন রত কৃষকদের মতোই, আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন তাঁরা।