মুম্বইয়ের বাসিন্দা হলেও টলিগঞ্জের অতি পরিচিত নাম ইন্দ্রলীন সেনগুপ্ত ও বরখা বিশত সেনগুপ্ত। প্রায়ত গত দু-দশক ধরে দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই সমানতালে কাজ করে চলেছেন ইন্দ্রনীল। বরখাও টলিউডে দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন বিয়ের পরবর্তী সময়ে। এই দম্পতি রীতিমতো ‘কপল গোলস’ দেন। তাঁদের অনস্ক্রিন-অফস্ক্রিন রসায়ন নজরকাড়া। তবে এখন টলিগঞ্জে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছেন এই দম্পতি।
কিন্তু পাকাপাকিভাবে যাঁরা মুম্বইয়ের বাসিন্দা, আচমকা কেন সেই দম্পতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে? এর পিছনে রয়েছেন এই টলি সুন্দরী। টলিগঞ্জের জোর গুঞ্জন মুখে যতই ‘প্রেম পড়া বারণ, কারণে-অকারণ' তিনি বলুন না কেন, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তর সঙ্গে নাকি প্রেম করছেন ইশা সাহা! আর সেইজন্যই বরখা-ইন্দ্রনীলের ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন টালমাটাল। আর এই চর্চিত প্রেম কাহিনির শুরুটা মাস ছয়েক আগে। সেইসময় ‘তরুলতার ভূত’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করছিলেন ইন্দ্রনীল, বিপীরতে অবশ্যই ইশা সাহা। খবর, শ্যুটিং সেটে দুজনের বন্ধুত্ব নাকি বেশ গাঢ় হয়ে উঠেছিল। সেই দৃশ্য নজর এড়ায়নি অনেকেরই। তবে ইন্দ্রনীল-বরখার মজবুত সম্পর্কের কথা ভেবে অনেকেই বিষয়টা গুরুত্ব দেননি। তবে জল্পনার জল যে কলকাতা পেরিয়ে মুম্বই পৌঁছে গিয়েছে তা স্পষ্ট।
গত মার্চে ১৩তম বিবাহবার্ষিকীতে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ইন্দ্রনীল-বরখা, ব্যাস সেই শেষ। তারপর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে বরখার প্রোফাইল ইন্দ্রনীলহীন, অন্যদিকে ইন্দ্রনীলের ইনস্টাগ্রাম পোস্টেও দেখা মিলছে না স্ত্রীর। যদিও দুজনেই চুটিয়ে ছবি শেয়ার করেছেন তাঁদের নয়নের মণি, একমাত্র সন্তান মীরার সঙ্গে।
কী কারণে এই দূরত্ব? তেমনটা আঁচ করতে পারছেন সকলেই। খবর, গত কয়েক মাস ধরে নাকি একসঙ্গে থাকছেন না এই দম্পতি। তবে ডিভোর্সের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি দুজনেই। তবে এই ব্যাপারে এক সংবাদমাধ্যমের তরফে বরখার সঙ্গে য়োগাযোগ করা হলে এই গুঞ্জনের সত্যতা অস্বীকার করেছেন বরখা। একই সুর ইন্দ্রনীলের মুখেও। দুজনেরই বক্তব্য, তাঁদের সুখী গৃহকোণ আগের মতোই অটুট আছে।
এই ত্রিকোণ সম্পর্কের তৃতীয় ব্যক্তি কী বলছেন? ইশার এই ব্যাপারে স্পষ্ট বলেন, ‘এই ব্যাপারটা নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমার জীবনে এরকম কিছু ঘটছে বলে অন্তত আমি নিজে জানি না’। ইশা আরও যোগ করেন, ছবির শ্যুটিং শেষ হওয়ার পর ইন্দ্রনীলের সঙ্গে তাঁর কোনওরকম যোগাযোগ নেই। এই গুঞ্জন আদৌতে কতটা সত্যি তা তো সময়ই বলে দেবে।