গত সপ্তাহে 'পুষ্পা ২: দ্য রুল'-এর প্রিমিয়ারে এক ভক্তের মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় আল্লু অর্জুনকে। এরপর প্রথমে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয় তাঁকে। যদিও পরে, সন্ধের দিকে জামিন পান তিনি। কিন্তু ততক্ষণে আল্লু চঞ্চলগুড়া জেলে। রাতভর সেখানেই কাটাতে হয় তাঁকে।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর প্রথম বিবৃতি দিয়েছেন আল্লু অর্জুন। কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় অভিনেতা বলেন, ‘আমি নাগরিক হিসেবে বরাবর সমস্ত আইন মেনে চলেছি। এক্ষেত্রেও সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করতে চাই। আরও একবার মৃতার পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই।’
আরও পড়ুন:
আল্লু অর্জুনের গ্রেফতারি ও জামিন
গত বৃহস্পতিবার'পুষ্পা ২'-এর প্রিমিয়ারের সময় হলে হাজির অভিনেতাকে দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর সেই পরিস্থিতিতে পদপিষ্ঠ হয়ে, দম আটকে মারা যান রেবতী হায়দরাবাদে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মহিলার ৯ বছরের শিশু সন্তানকে। এরপরই মৃতার স্বামী মামলা করে আল্লুর নামে।
এদিকে শুক্রবার পুষ্পারাজ-কে গ্রেফতার করতে এলে, তৈরি হয় নাটকীয় পরিস্থিতি। অভিযোগ সোজা এই দক্ষিণী সুপারস্টারের বেডরুমে ঢুকে যায় পুলিশ। তাঁকে পোশাক পরিবর্তন করার সুযোগও দেয়নি। পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময়ও কিন্তু ফুল সোয়্যাগে ছিলেন অভিনেতা। হাতে থাকা কফির কাপ শেষ করেন, ততক্ষণ অপেক্ষা করে পুলিশ। তারপর স্ত্রীকে চুম্বন করে রওয়ানা দেন।
এরপরের কয়েক ঘণ্টা আরও নাটকীয়। প্রথমে আদালতের সাওয়াল-জবাব। তারপর ১৪ দিনের জেল হেফাজত। মাঝে দেখা যায়, মৃতার স্বামী সংবাদমাধ্যমকে বলছেন, আল্লু নির্দোষ। তিনি কেস তুলে নেবেন। এরপরই হাইকোর্ট ৩ সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়। তবে, কপালের দুর্ভোগ কাটে না। পুরো রাতটা জেলেই কেটে যায় তাঁর।
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা সময়মতো জামিনের আদেশ পায়নি এবং তাই সময়মতো অভিনেতার মুক্তির প্রক্রিয়া করতে পারেনি। তবে আল্লু অর্জুনের আইনজীবীরা এটিকে 'বেআইনি আটক' বলে সমালোচনা করে বলেছেন। সঙ্গে তারা 'আইনি পদক্ষেপ নেবেন' হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক ধোঁয়াশা
এদিকে সবাইকে ছেড়ে এই গোটা ঘটনায় রাজনৈতির গন্ধ পাচ্ছেন সকলে। তেলেঙ্গানায় ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি ও বিআরএস। টিপিসিসি সভাপতি মহেশ কুমার গৌড় পাল্টা আক্রমণ করে বলেছেন যে আইন সবার জন্য সমান এবং এটি তার পথে চলবে।