টলিউডের অন্যতম চর্চিত জুটি নুসরত-নিখিল। বিয়ের পর এই দম্পতির দ্বিতীয় দুর্গাপুজো। আর এই বছর এই আনন্দ দ্বিগুণ কারণ বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছে নুসরতের ছবি ‘SOS কলকাতা’। বুধবার মহাপঞ্চমীতে মুক্তি পেল পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষের এই ছবি।SOS কলকাতা ঘিরে নুসরতের পাশাপাশি নিখিলও কম এক্সাইটেড নন। এদিন নিখিলকে সঙ্গে নিয়েই ছবির প্রিমিয়ারে হাজির হয়েছিলেন নুসরত। সবরকম করোনা সতর্কতাবিধি মেনে দক্ষিণ কলকাতার এক ঐতিহ্যবাহী প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করা হয়েছিল ছবির প্রিমিয়ার।
এই ছবিতে একদম ‘নেভার সিন বিভোর’ অবতারে ধরা দিয়েছেন নুসরত। এই ফিল্মে অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডের দুঁদে অফিসার অ্যামান্ডার ভূমিকায় দেখা মিলল নুসরত জাহানের। নুসরতের পাশাপাশি ছবিতে লিড রোলে রয়েছেন যশ দাশগুপ্ত। অনান্য ভূমিকায় দেখা মিলেছে মিমি চক্রবর্তী, এনা সাহা, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়দের।
আর এই ছবিতে অ্যামান্ডাকে দেখা মুগ্ধ নিখিল। প্রিমিয়ারের ফাঁকে একসঙ্গে সেলফি তুলে সেই ছবি পোস্ট করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে। আর ক্যাপশনে জুরে দেন- ‘অ্যামান্ডা রকস’। এই ছবিতে যে নুসরত যে পরিমাণে অ্যাকশন করেছেন তা বাংলা ছবিতে কোনও নায়িকাকে আগে করতে দেখা গেছে কিনা তা সন্দেহজনক। তাই রকিং অ্যামান্ডা যে স্বামীর মন জয় করে নিয়েছেন তা আর নতুন কথা কী!
ভালোবাসার শহর কলকাতা সন্ত্রাসবাদীদের কবলের মুখে। কীভাবে নিজের শহরকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচাবেন যশ-নুসরত, সেই নিয়েই গড়ে উঠেছে এই ছবির কাহিনি।
অ্যামান্ডার চরিত্র নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছিলেন, ‘আমার দারুণ লেগেছে অ্যামান্ডার চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পেরে। এইরকম অ্যাকশন সিক্যুয়েন্স সাধারণত বাংলা ছবিতে আগে নায়িকাদের করতে দেখা যায়নি। তবে খুব চ্যালেঞ্জিং- মানে ’।
এমনিতে খুব বেশি বাংলা ছবি না দেখলেও নুসরতের ছবি দেখতে ভোলেন না নিখিল, পাশাপাশি নুসরতের পাশে কোন হিরোকে সবচেয়ে বেশি মানায় তেমনটা এক সাক্ষাত্কারে জানতে চাওয়া হয়েছিল নিখিলের কাছে। জবাবে নিখিল বলেন- ‘নুসরতের পাশে আমাকেই সবচেয়ে বেশি মানায়, কোনও হিরোকে নয়’।