শেষ হয়েছে 'খড়কুটো'। তবে নতুন ভাবে ফিরছেন 'পটকা' অম্বরীশ ভট্টাচার্য। 'ধুলোকণা' ধারাবাহিকে এক চিকিৎসকের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।
অম্বরীশের কথায়, 'যে ধরনের চরিত্রে আমাকে সচরাচর দেখা যায়, সেগুলির থেকে এটি একদমই আলাদা। এই চরিত্রটা পটকার মতো এতটা হাসিখুশি নয়। বরং কিছুটা গম্ভীর। এর আগে কখনও চিকিৎসকের চরিত্রে অভিনয় করিনি। সব মিলিয়ে বেশ অন্য রকম অভিজ্ঞতা।'
দু'বছর ধরে পটকার চরিত্রে অভিনয়। দর্শকমহলেও সেই নামে নতুন করে পরিচিতি পাওয়া। 'খড়কুটো' নিঃসন্দেহে অম্বরীশের জীবনের সেরা কাজগুলির মধ্যে অন্যতম। এ বার সেই ধারাবাহিকের গল্প ফুরলো। থামল 'পটকা'র আখ্যান। মন খারাপ? অম্বরীশের কথায়, 'মন তো খারাপ বটেই। এত দিন একসঙ্গে হইহই করে কাজ করলাম। কিন্তু আমার মনে হয়, চাহিদা থাকাকালীনই একটা ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাওয়া উচিত।'
(আরও পড়ুন: এখনও শট ‘নট গুড’ হওয়ার ভয় কাজ করে বিগ বি-এর মধ্যে! অকপট অম্বরীশ ভট্টাচার্য)
অভিনেতার সংযোজন, 'যে স্টুডিয়োয় 'গুড্ডি'র শ্যুট করি, তার পাশেই 'খড়কুটো'র শ্যুট হত। এখন দেখছি সেই সেট ভেঙে ফেলা হচ্ছে। আসবাবগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মন খারাপ হচ্ছে। কিন্তু সেখানেই আবার নতুন একটা পৃথিবী গড়ে উঠবে। এটাই আশা।'
(আরও পড়ুন: ‘খড়কুটো’র পটকা অম্বরীশ এবার ‘শ্রীময়ী’র দীপু! নতুন চমক থাকছে দর্শকদের জন্য)
'খড়কুটো'র শেষ পর্বে ফিরে এসেছে গুনগুন। তা দেখে অনেকেই বলেছেন, গল্পের গোরু গাছে উঠেছে। কেউ কেউ আবার দর্শককে 'বোকা' বানানোর অভিযোগ তুলেছেন নির্মাতাদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে অম্বরীশ বললেন, 'গুনগুন কিন্তু শুধু মাত্র একটি চরিত্র ছিল না। ও হল শুভবুদ্ধির প্রতীক। শেষ পর্বে লীনাদি সেটাই দেখাতে চেয়েছেন। বোঝাতে চেয়েছেন, মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু শুভবুদ্ধির বিনাশ নেই। তাই তো সকলের জন্য ফিরে আসবে গুনগুন। সে-ই তো আমাদের খড়কুটো। যাঁরা নাটক দেখেন, সাহিত্য পড়েন, বিষয়টি তাঁরা বুঝবেন। এ রকম একটি পরিসমাপ্তি বাংলা ধারাবাহিকে সচরাচর দেখা যায় না।'