সব বাধা পেরিয়ে অবশেষে স্বামী-স্ত্রীর বাঁধনে বাঁধা পড়ল শঙ্খ আর মোহর। মানে বাংলা টেলিভিশনের সুপারহিট জুটি ‘মোহদীপ’। মন্দিরে বিয়ের পর্ব আগেই সেরেছিল, যদিও সেই বিয়েতে সায় ছিল না পরিবারের। কিন্তু এবার বাবা-মায়ের আর্শীবাদ নিয়ে, এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও পরিবারের অন্য সকলের উপস্থিতিতেই মোহরের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিল শঙ্খ। বুধবার রাতের এপিসোডে মোহর-শঙ্খর বিয়ের গোটা পর্ব সম্প্রচারিত হবে স্টার জলসায়।
আগের দিনের এপিসোডেই কনের সাজে মোহরের ঝলক দেখেছেন দর্শকরা। লাল বেনারসিতে টুকটুকে রাঙা বউ লাগছে মোহরকে। সঙ্গে ভারি সোনার গহনা, মুখে সুবিশাল নথ- কনের সাজে সোনামণিকে যে দারুণ মানিয়েছে তা বলতেই হচ্ছে।
পিছিয়ে ছিল না শঙ্খও, সাদা জোড়ে, গলার মালায়, মাথার টোপরে নিখুঁত বর প্রতীক সেন, তা বলেই হচ্ছে। বিয়ের আসরে শঙ্খ-মোহরের খুনসুটি সমানতালে বজায় ছিল।
চাইছিলেন তাঁরা। তবে গল্প যতই এগিয়েছে ততই টুইস্ট বেড়েছে। গোপনে মন্দিরে বিয়ে হলেও জেঠুমণির অনুরোধে শঙ্খর জীবন থেকে সরে দাঁড়ানোর পাকা সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিল মোহর। তবে অবশেষে কাহিনিতে এসেছিল ‘শাদি মে জরুর আনা’ টুইস্ট। নিজের বিয়ের আমন্ত্রণেই অতিথি হিসাবে হাজির হয়েছিলেন মোহর। বাড়ির সকলকে রাজি করিয়ে শ্রেষ্ঠা নয়, মোহরের গলাতেই মালা দিল শঙ্খ।
মোহদীপের এই ভালোবাসা এইভাবেই অটুট থাকুক প্রার্থনা অনুরাগীদের, তবে চিত্রনাট্যে চমকের শেষ নেই। শঙ্খর মাকে আজও মেনে নেয়নি রায়চৌধুরী পরিবার। সেই নিয়ে বিয়ের আসরেও প্রতিবাদী হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে মোহরকে। অন্যদিকে এই জুটির খুশির মুহূর্ত যাতে বেশিক্ষণ স্থায়ী না হয় সেইজন্য নতুন ফন্দি আঁটতে দেখা গিয়েছে শ্রেষ্ঠাকে। মিষ্টি কথায় শঙ্খকে ভুলিয়ে বিয়ের রাতে কী অঘটন ঘটাতে চলেছে সে? এখন সেই নিয়েই চিন্তা মোহদীপ ভক্তদের।
তবে এই সবের মাঝে খুশির বিষয় হল ইতিমধ্যেই ৩০০ এপিসোড পার করে ফেলেছে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক। টানা দু-সপ্তাহ এক নম্বরে থাকবার পর এ সপ্তাহে টিআরপি রেটিংয়ে হ্যাট্রিক করতে কী সফল হবে মোহর? সেটাও এখন দেখবার।