সাবা আজাদকে ছাড়াই আম্বানির বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন হৃতিক রোশন, যা ব্রেকআপের গুজবকে উস্কে দিয়েছিল। মাস খানেক আগেই সুপারস্টারের প্রেমিকা হওয়ার জন্য মাশুল গুণতে হচ্ছে তাঁকে, এমন কথা বলে বোমা ফাটিয়েছিলেন সাবা। জানিয়েছিলেন, সুপারস্টার প্রেমিকের সঙ্গে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় একের পর এক কাজ হারাচ্ছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছিল, তবে কি বিয়ের পর হৃতিকের প্রেমও ভাঙল?
কেরিয়ারের শুরুতেই সুজান খানকে বিয়ে করে নিয়েছিলেন হৃতিক। ১৪ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে নিজেদের মতো জীবন বেছে নেন তাঁরা। আজও প্রাক্তন জুটির বন্ধুত্ব অটুট। সাবার সঙ্গে ব্রেকআপ জল্পনা নিয়ে মুখে একটা শব্দও খরচ করেননি হৃতিক, বরং প্রেমিকার হাত ধরে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে বুঝিয়ে দিলেন একসঙ্গেই রয়েছেন তাঁরা। রবিবার হৃতিক ও সাবাকে একটি মুভি ডেটে দেখা গেল। ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন দেখার জন্য একটি মাল্টিপ্লেক্সে হাজির হন তাঁরা, সেখানেই পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় বন্দি হন তারকা দম্পতি।
ব্রেকআপ জল্পনার উড়িয়ে মুভি ডেটে হৃতিক-সাবা
সাবা ও হৃতিকের ভিডিয়ো শেয়ার করে একজন রেডিটর লিখেছেন, 'সাবা হৃতিক একসঙ্গেই আছেন। কোনও ব্রেক আপ হয়নি। ক্লিপটিতে হৃতিকের হাত ধরেছিলেন সাবা। একদম ক্যাজুয়াল পোশাকে দেখা মিলল দুজনের। মাস্কে মুখ ঢেকে থিয়েটারে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। টলিউড থেকে বলিউড, চারিদিকে সম্পর্ক ভাঙার হিড়িক লেগেছে, সাবা-হৃতিককে একসঙ্গে দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল ভক্তরা।
ব্রেকআপ রটনার কারণ কী?
সম্প্রতি একটি রেডিট পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কীভাবে সাবাকে ছাড়াই অনন্ত আম্বানির বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন হৃতিক। চলচ্চিত্র নির্মাতা-কোরিওগ্রাফার ফারাহ খানের মা মেনকা ইরানির শেষকৃত্যেও হৃতিককে দেখা গেছে প্রেমিকাকে ছাড়া। সাবার সর্বশেষ গানের প্রচার সোশ্যাল মিডিয়ায় করতে দেখা যায়নি হৃতিককে, এর ফলেই নেটিজেনরা মনে করছিল দূরত্ব তৈরি হয়েছে দুজনের।
পোস্টে লেখা ছিল, ‘এইচআর-সাবার ব্রেকআপ??? এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁকে দেখা গেল তাঁকে ছাড়া। প্রথমটি আম্বানির বাড়িতে, আর এখন ফারাহ খানের বাড়িতে। পরিবর্তে সে তার মায়ের সাথে ছিল। তিনি তার সর্বশেষ গানের প্রচারণা করেননি। সম্পর্কের পাঠ চুকল?’
২০০০ সালের ডিসেম্বরে গাঁটছড়া বাঁধার পর ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয় হৃতিক ও সুজানের। হৃতিক ও সুজানের দুই ছেলে হৃদান ও হৃহান। আপতত আরসালান গোনির সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে রয়েছেন সুজান। প্রাক্তন বর ও প্রেমিককে নিয়েও হামেশাই একফ্রেমে বন্দি হন সুজান।