এই মুহূর্তে বি-টাউনের হট টপিক অনন্যা-হার্দিকের চর্চিত রোম্যান্স। আম্বানিদের বিয়েতে নাকি দুজনের ঘনিষ্ঠতা নজর কেড়েছে সকলের। নাতাশার থেকে আলাদা হয়েছেন হার্দিক, ওদিকে আদিত্যর সঙ্গে ব্রেকআপ হয়েছে চাঙ্কি কন্যার।
আলোচনার কেন্দ্রে থাকা অনন্যা গুরু পূর্ণিমায় স্মরণ করে নিলেন তাঁর গুরুকে। কেরিয়ারের শুরু থেকেই ট্রোলিং, প্রেমচর্চা ঘিরে থেকেছে অনন্যাকে। নেপো-কিড বলে কম বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়নি তাঁকে। এইসবের মাঝে অনন্যার শান্তির ঠিকানা তাঁর গুরুর ছত্রছায়া। মা-বাবা'র মতো ছত্তরপুর ওয়ালে গুরুজির ভক্ত অনন্যা। গুরুপূর্ণিমায় তাঁকে স্মরণ করে হাতে গুরুজির মুখের ছবি খোদাই করা ব্রেসলেট হাতে পরলেন অনন্যা।
গুরুজির ছবি সহ একটি নীল ব্রেসলেট পরেছিলেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লেখা ‘গুরু পূর্ণিমা,… শুকরানা (অসংখ্য ধন্যবাদ)’। প্রিন্টেড সাদা পোশাকে পরেছিলেন অনন্যা।
![অনন্যার পোস্ট অনন্যার পোস্ট](https://image2.hindustantimes.com/bangla/img/2024/07/21/original/sdr_1721580509589.png)
গত মাসে অনন্যার বাড়িতে গুরুজির জন্য বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রীর মা। লাল কাপড় ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে একটি কক্ষ। গুরুজিকে একটি আসনও উৎসর্গ করা হয়েছিল। ভাবনা এবং চাঙ্কি মেঝেতে বসে ক্যামেরার জন্য পোজ দিলেন। হেমা মালিনী, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, প্রয়াত ঋষি কাপুরের মতো বহু সেলিব্রিটি এই গুরুজির অনুগামী।
কে এই ছত্তরপুরওয়ালে গুরুজি?
গুরুজিসঙ্গত ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট অনুসারে, ভক্তরা এই গুরুজিকে ভগবান শিবের অবতার বলে মনে করতেন। গুরুজি দুগরি ওয়ালে গুরুজি এবং শুকরানা গুরুজি নামেও পরিচিত। তাঁর আসল নাম নির্মল সিং মহারাজ। ১৯৫৪ সালে পঞ্জাবের দুগরি গ্রামে তাঁর জন্ম। গুরুজি ইংরেজি ও অর্থনীতিতে ডাবল এমএ ছিলেন। 'লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে স্পর্শ করেছেন এবং হাজার হাজার রোগ নিরাময় করেছেন বলে কথিত আছে।
জলন্ধর, চণ্ডীগড়, পঞ্চকুলা, দিল্লি এবং মুম্বাইয়ে তাঁর ভক্ত সংখ্যা অগুণতি। জলন্ধরের ডিফেন্স কলোনিতে একটি বাড়িতে বসতি স্থাপন করেছিলেন গুরুজি, যা এখন তাঁর মন্দির হিসাবে পরিচিত। ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি দিল্লি ও জলন্ধরের নিয়মিত যাতাযাত করতেন। অবশেষে তিনি নয়াদিল্লির এমজি রোডের এম্পায়ার এস্টেট হাউসে স্থায়ী হন, যা ছোট মন্দির নামে পরিচিত। ১৯৯০-এর দশকে তিনি ছত্তরপুরের ভাট্টি খনি এলাকায় শিবমন্দিরও তৈরি করেছিলেন, যা তাঁর ভক্তদের কাছে বড়া মন্দির নামে পরিচিত। এটি এখন তার সমাধি ঘর। ২০০৭ সালের মে মাসে মৃত্যু হয় গুরুজির।