Jisshu-Nilanjana Divorce: যিশুর জীবনে অন্য নারী! নীলাঞ্জনার সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকছেন না নায়ক, ডিভোর্সের পথে হাঁটবেন?

Jisshu-Nilanjana Divorce: পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন যিশু, স্বামীর জীবনে অন্য নারীর উপস্থিতি মেনে নিতে না পারাতেই অশান্তি নীলাঞ্জনার ২০ বছরের দাম্পত্যে। দুই মেয়ের কথা ভেবে ভুল বোঝাবুঝি মিটবে তাঁদের?

হার্দিক-নাতাশার ডিভোর্সের জল্পনায় ইতিমধ্যেই সিলমোহর পড়েছে। এবার চর্চায় টলিপাড়ার দম্পতি যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। ভাঙনের মুখে যিশু-নীলাঞ্জনার ভালোবাসার বিয়ে! ২০ বছর ধরে একসঙ্গে থাকবার পর হঠাৎ করেই ছাদ আলাদা হল দুজনের, এবার কানে আসছে এমনই গুঞ্জন!

সোশ্যাল মিডিয়ায় যিশুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন নীলাঞ্জনা। ইনস্টাগ্রামে স্বামীকে আনফলো করেছেন নীলাঞ্জনা, সঙ্গে মুছে ফেলেছেন সেনগুপ্ত পদবি। এখন তিনি শুধুই নীলাঞ্জনা। পাশাপাশি যিশুর সঙ্গে নিজের অধিকাংশ ছবিই ডিলিট করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই মুম্বই ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের জন্য খুব কম সময়ই কলকাতায় থাকেন যিশু। এই দূরত্বই নাকি কাল হল দম্পতির জীবনে! 

যিশু নাকি পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, তার জেরেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে স্ত্রীর সঙ্গে। এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি কলকাতায় ফিরেছেন যিশু, একটি ছবির শ্যুটিংয়ের কাজে। সিসিএলের সাক্সেস পার্টিতেও দু-দিন আগে দেখা গিয়েছে নায়ককে। অথচ লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে থাকছেন না অভিনেতা। অর্থাৎ আপতত যিশু-নীলাঞ্জনার ছাদ আলাদা। এক শহরে থাকলেও মনের দূরত্ব এতটাই বেড়েছে, যে এক ছাদের নীচে থাকা আর সম্ভব হচ্ছে না। 

খবর, মুম্বইয়ে কাজের ব্যস্ততার মাঝেই নাকি অন্য কাউকে মন দিয়ে ফেলেছেন যিশু। সেই খবর নীলাঞ্জনার কানে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগেনি। পতি-পত্নীর মাঝে সেই ‘ওহ’-টা কে? সূত্র বলছে, সেই সুন্দরী যিশুর সহকর্মী, তবে অভিনেত্রী নন। যিশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদ চর্চায় স্তম্ভিত অনেকেই। কারণ এই জুটির মতো হাসিখুশি আর একসঙ্গে জুড়ে  থাকা দম্পতি খুব কমই চোখে পড়ে। একবার নীলাঞ্জনা বলেছিলেন, ‘যিশু কোনও দিন ওর মা-বাবাকে আলাদা হতে দেখেনি। আমিও না। আমাদের কাছে বিবাহিত জীবনের সংজ্ঞা এটাই। ভাল-মন্দ যা-ই আসুক, আমরা হাত ছাড়ব না।’ অথচ কঠিন সময়ে সেই হাতটাই আর নীলাঞ্জনার সঙ্গে নেই! 

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নীলাঞ্জনা লিখেছেন, ‘এই বছরটা জুড়ে থাকল একের পর এক হারানো, একটার পর একটা ক্ষতিতে, একের পর এক যুদ্ধতে। কঠিন সময় জীবনের আসল রং দেখতে পেলাম। দেখলাম, ভেঙে পড়লেও তা সুন্দর থাকা যায়, জানলাম আমায় ভালবাসার এবং ঘিরে রাখার কত মানুষ আছেন, আমার জীবনের শক্তির স্তম্ভ, হৃৎস্পন্দন হল সারা, জারা, এবং চন্দনা। তোমাদের ভালোবাসি। যাঁরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই কঠিন সময় পেরিয়ে ফিরে আসার জন্য একটু সময় নিচ্ছি।’

হ্যাঁ, এই পোস্টে দুই মেয়ে সারা, জারা ও বোন চন্দনার নাম নিলেও যিশুর উল্লেখ নেই। মায়ের পোস্টের কমেন্ট বক্সে মেয়ে সারা লেখেন, ‘তোমাকে নিয়ে গর্বিত মা’। সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন নীলাঞ্জনা। মন-খারাপ এখনও ঘিরে রয়েছে তাঁকে। তবে জীবন পথে এগিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তিনি। ফিরে আসার সময়টুকু চেয়ে নিয়েছেন।