শোবিজ দুনিয়ার সম্পর্কের সমীকরণ অতি দ্রুত বদলায়। কিন্তু যিশু-নীলাঞ্জনার দাম্পত্য এভাবে কালো মেঘে ঢেকে যাবে তা কে জানতো? টলিপাড়ার অন্যতম আদর্শ দম্পতির ২০ বছরের সংসার ভাঙনের মুখে। দুজনের ছাদ আলাদা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশই নাকি বিয়ে ভাঙার কারণ।
আপ্ত সহায়ক শিনাল সূর্তিকে মন দিয়েছেন যিশু। দুজনের প্রেম জমে ক্ষীর! মাঝে তো এমনও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, ফের নাকি বাবা হতে চলেছেন যিশু। সেই কারণেই নাকি ডিভোর্সের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা। যিশু যদিও গোটা বিষয় নিয়ে স্পিকটি নট। মাঝে কলকাতায় এসে লেক গার্ডেন্সের বাড়ি নয়, থেকেছেন অন্যত্র। চুপিচুপি খাদানের শ্যুটিংও করেছেন।
এর মাঝেই ভোলবদল নীলাঞ্জনার। বিয়ের পর নিজের অভিনয় কেরিয়ারে ইতি টানেন নীলাঞ্জনা। যদিও একটা সময় যিশুর চেয়ে বড় স্টার ছিলেন এই সুন্দরী। দুই মেয়েকে সামলাতেই জীবনের বড় সময় দিয়েছেন। যিশুর সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে সবটাই একার হাতে সামলেছেন, তবুও শেষ পর্যন্ত হাত খালি তাঁর। দুই মেয়ে যদিও মায়ের সঙ্গেই আছে। এর মাঝেই গ্ল্যামারাস ফটোশ্যুটে বোল্ড অবতারে ধরা দিলেন নীলাঞ্জনা।
উরু চেরা স্কার্ট আর ডিপ নেক টপে ‘সেক্সি’ লুকে ধরা দিলেন নীলাঞ্জনা। সঙ্গে লাল জ্যাকেট। মানানসই মেক-আপ আর জুয়েলারিতে অনন্যা হয়ে উঠলেন নীলাঞ্জনা। রূপটান শিল্পী প্রসেনজিৎ-এর হাতের জাদুতে নিজেকে পালটে ফেললেন নীলাঞ্জনা। ছবির ক্যাপশনে লেখা- ‘শক্তিশালী, সুন্দরী ও দায়িত্বশীল। মাধুর্য ও শক্তির সঙ্গে পৃথিবীর ভার সে বহন করতে পারে।’ যেন নিজেকেই এই কথাগুলো কানে কানে প্রতিদিন বলে চলেছেন নীলাঞ্জনা।
প্রাক্তন অভিনেত্রী-প্রযোজক নীলাঞ্জনার রূপে মুগ্ধ টলিপাড়া। মেয়ে সারা কমেন্ট বক্সে লেখেন, ‘হ্যালো মম… উফ কী দুর্দান্ত দেখাচ্ছে তোমাকে ফাটাফাটি।' পার্নো মিত্র থেকে রেজওয়ান রব্বানি শেখ, রাহুল মজুমদার থেকে শুভস্মিতা, সন্দীপ্তা সবার নজরে নীলাঞ্জনার এই সুপারহট অবতার।
বিচ্ছেদ চর্চার মাঝেই এক সাক্ষাৎকারে নীলাঞ্জনা বলেছেন, ‘মানুষের জীবনে প্রায়োরিটি সময়ে সময়ে চেঞ্জ হয়। প্রত্য়েক মানুষকে বুঝতে হবে, জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে তোমাকে কিছু একটা বেছে নিতে হবে, আর সেটায় বিশ্বাস করতে হবে। ৬ বছর আগে কাজ ছেড়ে দেওয়ার কোনও রিগ্রেট আমার নেই। সবার জীবনেই কোনও না কোনও কঠিন পরিস্থিতি আসবে, বিশ্বজুড়েই অশান্ত পরিবেশ আমরা দেখছি। তবে সবার উপরে কর্মফল এটা মনে রাখতে হবে।’