করোনাকালে কাছাকাছি আসেন দুজনে। পেশায় দন্ত চিকিৎসক, অথচ নাচ তাঁর প্যাশন। কোরিওগ্রাফার ধনশ্রী বর্মার কাছে নাচ শিখতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল। তারপর প্রেম-বিয়ে। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই চর্চা চার বছরের দাম্পত্যে ইতি টানছেন দুজনে। আরও পড়ুন-মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে রহস্যময়ীর সঙ্গে চাহাল! ধনশ্রীর পোস্ট, ‘সত্য মাথা উঁচু করে…’, কে এই মেয়ে
দাম্পত্যে দূরত্ব বেড়েছে সেই আভাস আগেই মিলেছে, তবে নতুন বছরে ডিভোর্সের গুঞ্জন লাগাম ছাড়িয়েছে। কারণ ইনস্টাগ্রামে ধনশ্রীকে আনফলো করেছেন চাহাল, মুছে দিয়েছেন বউয়ের সঙ্গে থাকা সব ছবিও। আলোচনায় উঠে এসেছে ধনশ্রীর পরকীয়ার চর্চাও। সেই নিয়ে ইঙ্গিতে জবাবও দিয়েছেন ধনশ্রী। চাহাল ঘরণী জানিয়েছেন, ‘সত্য মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে, কোনোরকম আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে না।’ এবার কাছের মানুষকে আগলে ছবি দিলেন তিনি।
রবিবার রাতে চাহাল যখন বিগ বসের মঞ্চে, তখন ধনশ্রী ভার্মা সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের কাঁধে মাথা রেখে কিছু হৃদয়স্পর্শী ছবি ভাগ করে নেন অনুরাগীদের সঙ্গে। ছবিগুলি ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল জাগিয়ে তুলেছে, অনেকের মনেই প্রশ্ন দাম্পত্য সমস্যার জন্য কি বাপের বাড়ি ফিরে এসেছেন ধনশ্রী?
ধনশ্রীর ইনস্টা পোস্ট
রবিবার ধনশ্রী ইনস্টাগ্রামে তাঁর মায়ের সঙ্গে পোজ দিয়ে যে ছবি শেয়ার করেছেন সেখানে ধনশ্রীকে অনেকটা ম্লান দেখাচ্ছে। মায়ের কাঁধে মুখ গুঁজে যেন শান্তির খোঁজে তিনি। মা যে কোনও সন্তানের নিরাপদ আশ্রয়, সেটাই হয়ত বোঝাতে চেয়েছেন তিনি।
মায়ের সাথে ধনশ্রীর ছবিগুলি যুজবেন্দ্রর সাথে তাঁর দূরত্ব নিয়ে ভক্তদের জল্পনা তৈরি করেছে। একজন লিখেছেন, মনে হয় নিজের বাড়িতে ফিরে গেছে ধনশ্রী। অন্য একজন লিখেছেন, ‘আমি জানি না কার দোষ রয়েছে তবে কোনও সিদ্ধান্তে আসা এবং তাদের চরিত্র নিয়ে টানাটানি করা উচিত নয়’। এক চাহাল ভক্ত কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘ও কখনও ইনস্টাগ্রামে মাকে নিয়ে পোস্ট করেনি, ট্রোল হওয়ার পর ও ভিকটিম কার্ড খেলতে শুরু করেছে’।
ধনশ্রী একজন দন্ত চিকিৎসক এবং কোরিওগ্রাফার যিনি রিয়েলিটি শো, ঝলক দিখলা জা-তে অংশ নিয়েছেন। ধনশ্রী এবং যুজবেন্দ্র চাহাল ২০২০ সালের ৮ অগস্ট বাগদান সেরেছিলেন, এরপর ওই বছরই ২২ ডিসেম্বর গুরুগ্রামে বিয়ের পর্ব সারেন দুজনে।
কিছুদিন আগেই ডিভোর্স চর্চা নিয়ে জবাবে ধনশ্রী লেখেন, ‘গত কয়েকটা দিন আমার পরিবার এবং আমার জন্য অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন ছিল। খুবই বিরক্তিকর যে কোনো রকম ফ্যাক্ট চেকিং ছাড়াই, ভিত্তিহীন লেখা এবং ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করা ট্রোলদের মাধ্যমে রীতমতো আমার চরিত্র হনন করা চলছে। আমি আমার নাম ও সততা গড়ে তুলতে বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমার নীরবতা দুর্বলতার লক্ষণ নয়, বরং শক্তির। অনলাইনে নেতিবাচকতা ছড়িয়ে দেওয়া খুবই সহজ, অন্যদের উন্নতির জন্য ভাবতে বরং সাহস ও সহানুভূতি লাগে।’
সব শেষে ধনশ্রী লেখেন, ‘আমি নিজের সত্যকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি, এবং এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজের মূল্যবোধ ধরে রেখে। সত্য মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে, কোনোরকম আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে না।’