গদর ২-এর সাফল্যে গদগদ সানি দেওল। রাখির দিন লাফিয়ে বেড়েছে গদর ২-এর আয়। মুক্তির ২০ দিনেই প্রায় ৪৭৫ কোটি টাকা আয় করেছে এই ছবি। সাফল্যের চওড়া হাসি গোটা টিমের মুখে, চলছে সেলিব্রেশন পর্ব। ধর্মেন্দ্র-পুত্রের কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় হিট এই ছবি। ৬৫ বছর অভিনেতা প্রমাণ করে দিলেন এখনও তিনি ফুরিয়ে যাননি। সানির বুড়ো হাড়ের ভেলকি অবাক করেছে সকলকে। এর মাঝেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেতা। ছেলেবেলায় কঠিন মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে সানিকে, কারণ একটি কঠিন রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। যা বুঝতে দেরি হয়েছিল সকলের।
‘তারে জমিন পর’-এর ঈশান অবস্তির কথা মনে আছে নিশ্চয়! ঈশানের মতোই ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত ছিলেন ঢাই কিলোর হাতের মালিক। সংখ্য়া চিনতে অসুবিধা হত সানির, পড়তে-লিখতে পারতেন না ঠিক করে। স্কুলের রেজাল্টেও ধরা পড়ত তার প্রতিফলন। সেটাকে ছোট ছেলের বদমাইশি বলেই মনে করত সকলে, ফলস্বরূপ কপালে জুটত মার।
রণবীর আল্লাহবাদিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘আমি ছেলেবেলায় ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত ছিলাম। আমরা তো জানতামও সেটা আদেও কী! চড় খেতাম, লোকজন গাধা বলত। ছেলেটা পড়তে পারে না, এমন কটাক্ষ শুনতাম।’ এত বছর পরেও সেই সমস্যা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি সানি দেওল। তিনি বলেন, ‘আজও অনেক সময় পড়তে গেলে মনে হয় সব অক্ষরগুলো পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে… অনেকে আমাকে জনসভা বক্তব্য দেওয়ার সময় টেলিপ্রম্পটার ব্যবহার করতে বলে কিন্তু আমি অস্বীকার করি। বলি, কী বলতে হবে বলুন আমি সেটা বলার চেষ্টা করব।’
ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁর আইকিউ লেভেল (বুদ্ধিমত্ত) অত্যন্ত বেশি জানান সানি। অভিনেতা বলেন, ‘আমি যে ডিসলেক্সিয়ায় ভুগেছি সেটা আজ পর্যন্ত কেউ জানে না। তবে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে। শুরুতে কথা বলতে গিয়েই প্রচণ্ড নার্ভাস হয়ে পড়তাম। হয়ত বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেই জড়তাটা কেটে গিয়েছে। তবে শুরুর দিকে আমার হাতে কেউ মাইক্রোফোন ধরিয়ে দিলে আমি ভাবতাম, এবার কী বলব’।
তবে, ডিসলেক্সিয়ার বাধা পেরিয়ে আজ সাফল্যের শিখরে সানি দেওল। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানের ছক্কা হাঁকাচ্ছেন ধর্মেন্দ্রর পুত্র। গুরুদাসপুরের বিজেপি সাংসদ তিনি। প্রসঙ্গত, বক্স অফিসে ২০ দিনে ৪৭৪.৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। হিন্দি ছবির ইতিহাসের তিন নম্বর ছবি হিসাবে ৫০০ কোটির ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলবে সানি-র গদর ২, আশা বিশেষজ্ঞদের।