২০২৩ সালে ‘গদর ২’ এমন একটি সিনেমা, যা ৯০ দশকের মানুষের কাছে নিঃসন্দেহে একটি নস্টালজিক অনুভূতি নিয়ে এসেছিল। বহু বছর পর সাকিনা এবং তারা সিংয়ের সেই প্রেম দেখতে পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছিলেন দর্শকরা। তবে এই আইকনিক ভূমিকা অভিনয় করতে গিয়ে রীতিমতো জীবন নিয়ে টানাটানি পড়ে যায় আমিশার। ঠিক কী হয়েছিল?
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আমিশা বলেন, একটি সিনে আমার জলের মধ্যে কিছুক্ষণ থাকতে হত। আমি পরিচালককে বারবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম জল গরম আছে কিনা। অনিল জি আমাকে বলেছিলেন, জল গরম থাকবে আমি যেন চিন্তা না করি। কিন্তু যখন শট দিতে গিয়েছিলাম তখন দেখি জল কনকনে ঠান্ডা।
আরও পড়ুন: একেন বাবুর প্রচার সঙ্গী ভাইরাল রাজুদা! অনির্বাণ চেটেপুটে খেলেন ৩০ টাকায় ৩টে পরোটা, হল কটাক্ষ
আরও পড়ুন: ‘ডায়ালগ রাখা যাবে না, কারণ…’, হৃত্বিকের সঙ্গে কাজে পরিচালককে কেন এমন শর্ত দিলেন কলকাতার দেবপ্রিয়?
অভিনেত্রী বলেন, আমি একটি পাতলা সালোয়ার কামিজ পরেছিলাম। প্রথম যখন আমার ওপর জল ঢালা হয় তখন আমি রীতিমতো কেঁপে উঠেছিলাম কারণ জল ঠান্ডা বরফ ছিল। ঠান্ডা জল নিয়েই গোটা শ্যুট হয়, ততক্ষণে আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
শ্যুট শেষ হওয়ার পর আমার সহকর্মীরা আমাকে ব্র্যান্ডি দেয়, আমার পা ঘষে দেয় কিন্তু আমার তখন সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। সবাই অনেক চেষ্টা করে কিন্তু ততক্ষণে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আমাকে তড়িঘড়ি মেকআপ ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রায় চার ঘন্টা আমার জ্ঞান ছিল না। সবাই প্রায় ভেবেছিল আমি আর বাঁচবো না, বলেন আমিশা।
আমিশা আরও বলেন, ৪ ঘন্টা পর যখন আমি চোখ মেলে তাকিয়ে ছিলাম তখন দেখি সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। বুঝতে পারি আমাকে নিয়ে ভীষণ টেনশনে ছিল সকলে। কিন্তু এই চার ঘন্টায় ঠিক কী হয়েছিল আমার মনে নেই।
আরও পড়ুন: ‘রক্তে লেখা চিঠি পেতাম’, কহো না পেয়ার হ্যায় মুক্তির ২৫ বছরে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা ফাঁস আমিশার
আরও পড়ুন: দু-বার ডিভোর্সি অপর্ণার সঙ্গে ৩২ বছরের সুখী দাম্পত্য কল্যাণের, কোন জাদুমন্ত্রে? ফাঁস করলেন অভিনেত্রী
সানি দেওল প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, আমার অসুস্থতার সময় সানি স্যার আমাকে ভীষণ সাহায্য করেছিলেন। ব্লাড প্রেশার মেশিন নিয়ে এসে রক্তচাপ মাপেন, থার্মোমিটার নিয়ে এসে জ্বর মাপেন আমার। তড়িঘড়ি চিকিৎসকের ডেকে নিয়ে আসেন। ততক্ষণে যদিও স্থানীয় একজন চিকিৎসক এসেছিলেন, কিন্তু তিনি ইনজেকশন দিতে ভয় পাচ্ছিলেন কারণ আমি বমি করেছিলাম বারবার। সানি চাননি কোনও ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হোক তাই তিনি তাঁর পরিচিত চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসেন।
প্রসঙ্গত, ‘গদর ২’ বক্স অফিসে প্রায় ৫০০ কোটির বেশি আয় করেছিল। ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের মধ্যে অন্যতম ছিল এই সিনেমাটি। যদিও শুরু আয়ের দিক থেকে নয়, জনপ্রিয়তার দিক থেকেও এই সিনেমাটি এগিয়েছিল অনেকটাই।