হামেশাই সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলের মুখে পড়েন জয়া বচ্চন। যার পিছনে রয়েছে তাঁর রাগ। প্রায়ই দেখা যায়, ফোটো-ভিডিয়ো তুলত আসা পাপারাৎজিদের উপর চটেছেন। কখনো কোনো প্রশ্ন করার জন্য, কখনো তাঁর ছেলে-বউমাকে নাম ধরে ডাকার জন্য, আবার কখনো অতিরিক্ত জোড়ে কথা বলার জন্য, ধমক লাগাতে দেখা যায় জয়াকে। তবে হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রেডিটে উঠল নতুন দাবি। যেখানে একটি পুরনো সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখা হল, এই কারণেই নাকি সবসময় এত রেগে থাকে ‘জয়া আন্টি’।
সিমি গরেওয়ালের কাছে জয়া ও অমিতাভের সাক্ষাৎকার:
পুরনো সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে সিমি প্রশ্ন রাখছেন, কোন মুহূর্তে গিয়ে বুঝতে পারেন তাঁরা যে একে-অপরের পরিপূরক। প্রশ্নের মূল উদ্দেশ্যই ছিল ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’-এর ব্যাপারে জানতে চাওয়া। আর তাতে দেখা যায় জয়া বেশ গদগদভাবেই জানান যে, তিনি প্রথম থেকেই জানতেন অমিতাভই তাঁর স্বপ্নের পুরুষ। সঙ্গে ঝটপট প্রেমে পড়া নিয়েও মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। অমিতাভের অবশ্য ছিল জয়ার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি যেন এই লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইটের ব্যাপারটাকে কিছুটা অবজ্ঞাই করেন। বারংবার তাঁদের কথা থেকে ফুটে উঠছিল, যেন এই বিয়ে সফল করার দিকে জয়া বচ্চনের ঝোঁকই বেশি।
সিমি প্রশ্ন করেন, ‘উনি রোম্যান্টিক।’ তাতে জয়া বলেন, ‘না! অন্তত আমার সঙ্গে তো না।আমি এটার সঙ্গেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এই ২৫ বছর পর এসে যদি উনি বদলান, তাতে আমারই সমস্যা হবে।’ দেখা যায়, নিজেকে স্বামী হিসেবে ৭.৫ নম্বর দেন অমিতাভ। কিন্তু জয়া দেন মাত্র ৫।
জয়াকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘ওঁর প্রায়োরিটির কথা বললে, আগে মা-বাবা, তারপর ছেলে-মেয়েরা, তারপর আমি। নাকি আরও কেউ আছে? আমার আগে মনে হয় ওর কাজও আছে। হতে পারে ওর মেকআপ আর্টিস্ট, ওর গাড়ি।’
এক রেডিট ইউজার এই ভিডিয়োটি শেয়ার করে লেখেন, ‘নিজস্ব মতামত, কিন্তু কেন জানি না জয়া বচ্চনকে এত রূঢ় ও রাগী শোনানোর কারণ হতে পারে এই ধরনের বিয়ে।’ আরেকজন লেখেন, ‘আশ্চর্যের কিছু নেই যে সে সব সময় এত অভদ্র! কারণ সে এত বছর ধরে তার প্রাপ্য ভালবাসা এবং যত্ন পায়নি!’
১৯৭৩ সালের ৩ জুন ফের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অমিতাভ ও জয়া। পরের বছর তারা তাদের প্রথম সন্তান শ্বেতা বচ্চনকে স্বাগত জানায়, ১৯৭৬ সালে অভিষেক বচ্চনের জন্ম হয়। বিয়ের পরপরই অমিতাভের নাম জড়ায় রেখার সঙ্গে। এমনকী, রেখা-অমিতাভকে নিয়ে লিঙ্কআপের খবর এখনও প্রিয় আট থেকে আশি সব বয়সের। রেখা নিজে বারংবার তাঁর কথায় অমিতাভের ইঙ্গিত করলেও, বিগ বি কখনো প্রকাশ্যে এই নিয়ে খোলেননি মুখ।