১৯ জানুয়ারি মাঠে মুখোমুখি হয়েছিলেন মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আর বড় চমক হল, তাঁদের সঙ্গে করমর্দন করতে মাঠে প্রবেশ করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। অন্যান্য ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপেরাও ছিল। সেখানেরই একটি ভিডিয়ো আপাতত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লিওনেল মেসির প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের বিপক্ষে সৌদি অল-স্টার একাদশের হয়ে খেলছেন রোনালদো। ম্যাচটি হয় রিয়াদে।
ম্যাচের আগে অমিতাভ বচ্চন মাঠে নেমে খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানান। ম্যাচে তার উপস্থিতি ভারতীয় ভক্তদের অবাক করেছে। অনেকেই খুশি হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করে নিয়েছে। অমিতাভ বচ্চনও টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে তাকে মাঠে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে এবং পরে খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানাতে। এর সঙ্গে তিনি লেখেন, "T ৪৫৩৩ - ‘রিয়াদে একটি সন্ধ্যা …’ কী দারুণ একটি সন্ধ্যা! ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি, এমবাপে, নেমার সবাই একসঙ্গে খেলছেন .. এবং আমি আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে খেলা উদ্বোধনের জন্য .. পিএসজি বনাম রিয়াদ সিজনস। অবিশ্বাস্য!!!"
প্রসঙ্গত, সৌজন্য ম্যাচ হলেও গতকালের খেলায় লড়াই ছিল হাড্ডাহাড্ডি। মোট ৯টি গোল হয়। তবে শেষ হাসি হাসে মেসি-নেমারের পিএসজি। আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ উৎফুল্ল মেসি-ভক্তরা! হবে না ই বা কেন, ফুটবলের তারকার ঝুলিতে যে ঢুকছে একের পর এক সাফল্য।
অন্য দিকে, কাজের সূত্রে অমিতাভ বচ্চনকে শেষ দেখা গিয়েছিল উঁচাই-তে। ২০২২ সালটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটিয়েছেন। শ্যুট করেছেন টানা কেবিসির। মুক্তি পেয়েছিল ব্রহ্মাস্ত্র, যা ২০২২ সালের সবচেয়ে উপার্জিত বলিউড ছবি ছিল। আসছে সময়ে অমিতাভকে দেখা যাবে প্রভাস এবং দীপিকা পাড়ুকোনের সাথে প্রজেক্ট কে-তে। রণবীর-সিং ঘরণীর সঙ্গে আরও একটা কাজ করার কথা রয়েছে অমিতাভ বচ্চনের। আর তা হল হলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা দ্য ইন্টার্নের হিন্দি রিমেক।
এদিকে বৃহস্পতিবারই অমিতাভের আইকনিক সিনেমা সূর্যবংশম নিয়ে হয়েছে খুব চর্চা। টিভিতে রোজ রোজ এই ছবি দেখে পীড়িত দর্শক সোজা চিঠি লিখেছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে। লেখা হয়েছিল, ‘আপনার চ্যানেলের সৌজন্যে, আমি এবং আমার পরিবার এখন হীরা ঠাকুরকে (ছবিতে বিগ বি অভিনীত চরিত্রে অভিনয় করেছেন) এবং তার পরিবারকে (রাধা, গৌরী) ততটা চিনে গিয়েছি, যতটা আমরা আমাদের নিজেদের আত্মীয়কে চিনি। আমরা সমস্ত সংলাপ মুখস্থ বলতে পারি। আমি জানতে চাই যে আপনি (চ্যানেল) এই ছবিটি আরও কতবার প্রচার করবেন? কতবার এই সিনেমাটি আবার দেখানোর পরিকল্পনা করেছেন? একই সিনেমার বারবার স্ক্রিনিং আমার মানসিক শান্তি ও বিচক্ষণতাকে প্রভাবিত করলে তার দায়ভার কে নেবে? আমি আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে আমার অভিযোগ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমাধান করুন৷’ চিঠিতে নিজের নামের জায়গায় 'সূর্যবংশম-পীড়িত' লিখেছিলেন ওই ব্যক্তি।