গোবিন্দাকে বাড়ি থেকে শ্যুটিংয়ে তুলে নিয়ে যেতেন অমিতাভ, কিন্তু কেন এমন করতেন বিগ বি?

হাম ছবির শ্যুটিং চলাকালীন গোবিন্দার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো অমিতাভ বচ্চন এবং রজনীকান্তকে। শেষে অমিতাভকে নিতে হয়েছিল এই সিদ্ধান্ত।

বলিউডের সবথেকে বড় সুপারস্টার অমিতাভ সময় সম্পর্কে ভীষণ সচেতন থাকেন। শ্যুটিং ফ্লোর বাড়ি থেকে যত দূরেই হোক না কেন, সব সময় সঠিক সময়ে পৌঁছে যান তিনি। তবে অমিতাভের মধ্যে যতটাই নিয়মানুবর্তিতা রয়েছে, উল্টোদিকে ঠিক ততটাই সেটে দেরি করে পৌঁছানোর অভ্যাস রয়েছে গোবিন্দার। ‘হাম’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন গোবিন্দার এই বদ অভ্যাসের জন্য অমিতাভকে নিতে হয়েছিল এক অন্য পন্থা।

সম্প্রতি অভিনেতা বিজয় পাটকর গোবিন্দার দেরি করে আসা প্রসঙ্গে একটি মজাদার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। তিনি শেয়ার করেন কীভাবে অমিতাভ গোবিন্দার এই দেরি করে আসার অভ্যাসের কারণে নিজেই বেছে নিয়েছিলেন একটি অন্য পন্থা।

সম্প্রতি দীপক শিরকে - এর সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন বিজয় পাটকর বলেন, ‘হাম সিনেমায় পরিচালক মুকুল আকন্দ সূর্যোদয়ের একটি দৃশ্য শ্যুট করতে চাইছিলেন, কিন্তু প্রতিদিন গোবিন্দার দেরি করে আসার ফলে সেই দৃশ্যটি কিছুতেই নেওয়া যাচ্ছিল না। সেই সময় VFX ছিল না তাই সূর্যোদয়ের ওপরেই নির্ভর করে থাকতে হতে সকলকে। চতুর্থ দিনে গোবিন্দা সময় মতো সেটে এসেছিলেন এবং সেই দিন শ্যুটিং সম্পন্ন হয়।’

অভিনেতা বলেন, ‘হাম সিনেমায় গোবিন্দার দেরি করে আসতেন বলে বড়ে মিয়াঁ ছোট মিয়াঁ ছবি চলাকালীন প্রত্যেকদিন অমিতাভ জি গোবিন্দাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তবেই সেটে যেতেন। প্রতিদিন গোবিন্দার বাড়ির সামনে হর্ন বাজিয়ে তাঁকে গাড়িতে তুলে তবেই তিনি একসঙ্গে সেটে পৌঁছতেন। এই সরলতা আছে বলেই বচ্চনজি এখনও কাজ করে চলেছেন।’

বিজয় আরও বলেন, ‘প্রযোজকরা আপনার বায়নাক্কা দেখার জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করেন না, আপনার কাজের জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করেন। গোবিন্দার দেরি করে আসার এই কারণের ফলে বহু প্রযোজকের বহুবার ক্ষতি হয়েছে। একজন অসাধারণ অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র এই দোষ থাকার কারণে গোবিন্দার কর্মজীবনের পতন হয়।’

প্রসঙ্গত, ‘তেজাব’ ছবিতে অনিল কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করে বলিউডে প্রথম কাজ করেন বিজয়। পরবর্তী সময় ‘আপনা স্বপ্না মানি মানি’, ‘গোলমাল থ্রি’, ‘তিস মার খান’, ‘অল দ্যা বেস্ট’, ‘সিম্বা’, ‘সিংঘম’ সহ বহু সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা।