দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত হলেন অমিতাভ বচ্চন। রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে এসে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের হাত থেকে ভারতীয় সিনেমা জগতের সর্বোচ্চ সম্মান গ্রহণ করেন বলিউডের শাহেনশা।
ভারতীয় সিনেমা নির্মাণ ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬৯ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়ার প্রচলন করে ভারত সরকার। ভারতীয় সিনেমার জনক হিসেবে পরিচিত ঢুন্ডিরাজ গোবিন্দ ফালকের নামানুসারে দেওয়া পুরস্কারে থাকে একটি সোনার পদ্ম এবং নগদ ১০ লাখ টাকা।
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার পরে অমিতাভকে অভিনন্দনবার্তা পাঠান ফিল্ম জগতের বিশিষ্টরা। সহ-অভিনেত্রী হেমা মালিনী বলেন, এই পুরস্কারের জন্য এর চেয়ে যোগ্য নাম খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনবার্তা পাঠান দক্ষিণের সুপারস্টার রজনীকান্ত, কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে, অভিনেতা অনিল কাপুর, রীতেশ দেশমুখ, বিবেক ওবেরয়, অর্জুন কাপুর, আয়ুষ্মান খুরানা, কার্তিক আরিয়ান, হুমা কুরেশি, পরিচালক করণ জোহর প্রমুখ। বাবাকে অভিনন্দন জানা অভিনেতা অভিষেক বচ্চনও।
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার খবর পেয়ে নিজের ব্লগে অমিতাভ লেখেন, ‘উত্তর দেওয়ার জন্য সাময়িক শব্দের জোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমার উদ্দেশে যে অসাধারণ সব শব্দ ঝরে পড়ছে, তার জন্য গভীর বাবে কৃতজ্ঞ ও ধন্য বোধ করছি। আন্তরিকতম কৃতজ্ঞতা জানাই।’

শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘বদলা’-তেও অমিতাভের অভিনয় মুগ্ধ করেছে অনুরাগীদের। অভিনয়ের গুণে এর আগে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। ১০৬৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সাত হিন্দুস্তানি’ দিয়ে সিনেমায় আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল তাঁর।
একাধিক হিট বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি ব্যতিক্রমী বেশ কিছু ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকমনে চিরভাস্মর হয়েছে রয়েছে। উল্লেখযোগ্য বহু ছবির মধ্যে রয়েচে অগ্নিপথ, ব্ল্যাক, পা ও পিকু। এর আগে ২০১৫ সালে দেশের দ্বিতীয সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্ম বিভূষণ-এ ভূষিত হয়েছেন এই দিকপাল শিল্পী।