IPS মনোজ কুমার শর্মার সঙ্গে কৌন বনেগা ক্রোড়পতি (KBC) ১৬-তে হাজির হতে চলেছেন বিক্রান্ত মাসে। এই আইপিএস মনোজের চরিত্রেই ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া 'টুয়েলভথ ফেইল'-ছবিতে অভিনয় করেন বিক্রান্ত। কেবিসি-তে অভিনেতা বিক্রান্তের মুখে তাঁর প্রথম জীবনের কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে যান সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন।
সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের তরফে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছে সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো। বিক্রান্ত বলেন, ‘বর্তমানে আমার বয়স ৩৭ বছর। তবে আমি গত ২০-২১ বছর ধরে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছি স্যার।’ একথা শুনে অমিতাভ ভ্রু কুঁচকে হেসে বলেন, ‘ওহ’।
বিক্রান্ত পুরনো স্মৃতি টেনে এনে বলেন 'যখন আমার ১৭ বছর বয়স হল, তখন খেয়াল করলাম, আমার বাবা অনেকটাই ক্লান্ত। কারণ, বোঝা বাড়ছে, তখন আমি ভাবলাম যে আমাকেও এবার অল্প হলেও দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা থাকতাম এক কামরার রান্নাঘর, এক বেডরুমের একটা হলে। একদিন বাবা বললেন, চলো একটু বেড়াতে যাই। আমরা নিচে গেলাম, সেই প্রথমবার আমাদের মধ্যে খোলামেলা কথা হল। তখন আমার মনে হয়েছিল, সময় এসেছে দায়িত্ব পরিবর্তন করে নেওয়ার।'
বিক্রান্ত মনোজ কুমার শর্মার দিকে ইশারা করে বলেন, ‘সেই ঘটনা এবং মনোজ স্যার তাঁর বাবার (যিনি গম পেষাই এর ব্যবসা করতেন) সঙ্গে যেটা করেছিলেন, সেটা শুনে মনে হল, এই গল্পটা বলা উচিত, তুলে ধরা উচিত।’ বিক্রান্তের এই কথায় মুগ্ধ অমিতাভ তখন হাততালি দিয়ে বললেন, ‘বাহ। বহুত খুব (বাহ, এটা আশ্চর্যজনক)। ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে বিক্রান্ত লিখেছেন, ’বিক্রান্ত ম্যাসে কে জিন্দেগি কা এক কাফি স্পেশাল কিসসা (বিক্রান্ত ম্যাসির জীবনের একটা বিশেষ গল্প)।
এদিকে কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে এসে আইপিএস মনোজ শর্মা বলেন, মনোজ বলেন, ‘এটা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে’। মনোজ বলেন, ‘সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে এমন একটি শো হবে তা কেউ কখনো ভাবেনি। এই শোটি ২০০০ সালে যখন শুরু হয়েছিল আমি তখন UPSC এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমরা পানের দোকানে বা রাস্তার ধারের খাবারের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকতাম, এই শোয়ের মাধ্যমে UPSC-এর প্রস্তুতির জন্য রাত ৯ টার জন্য অপেক্ষা করতাম। এমন সময় ছিল যখন আমাদের মনে হত আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু আপনি প্রশ্ন করা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাদের প্রস্তুতি যথেষ্ট ছিল না।’
আরও পড়ুন-কবে দেখা যাবে কাঞ্চন কন্যা কৃষভির মুখ? উত্তর দিলেন নতুন মা শ্রীময়ী
চম্বলে কাটানো শৈশবের দিনগুলি কীভাবে তাঁকে আইপিএস অফিসার হতে প্ররোচিত করেছিল সে সম্পর্কে কথা বলেন মনোজ শর্মা। তিনি বলেন, ‘যেহেতু চম্বল ডাকাতদের জন্য কুখ্যাত, তাই আমরা চম্বল থেকে এসেছি বলে বাড়ি পেতাম না। সেসময় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পড়াশোনা করা। সাধারণত উন্মুক্ত পরীক্ষা হতো এবং দ্বাদশের পর সবাই চাকরি করতে চলে যেত। আমার পরীক্ষার সময়, একজন শিক্ষক ছিলেন, যিনি প্রতারণা করতে দেননি। আমি তখন বুঝতে পারি যে পরীক্ষা আছে, যেগুলোতে পাশ করলে আমিও নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে পারব। তাই এভাবেই আমি এই পরীক্ষাগুলো পাশ করতে চেয়েছিলাম।’ প্রসঙ্গত বর্তমানে তিনি মনোজ শর্মা আইজি (ইন্সপেক্টর জেনারেল) পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।
টুয়েলভথ ফেইল
মনোজ শর্মার জীবনের গল্প অবলম্বনেই তৈরি হয়েছে 'টুয়েলভ ফেল'-ছবিটি। যিনি চরম দারিদ্র্যকে জয় করে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস অফিসার হয়েছিলেন। ছবিতে অভিনয় করেছেন মেধা শঙ্কর, অনন্ত ভি জোশী, অংশুমান পুষ্কর ও প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়।
এদিকে বিক্রান্ত মাসেকে খুব শীঘ্রই দেখা যাবে 'দ্য সবরমতী রিপোর্ট'-ছবিতে। বিক্রান্ত ছাড়াও যে ছবিতে রাশি খান্না এবং ঋদ্ধি ডোগরাও মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৫ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ছবিটির।