অমিতাভ বচ্চনের পরিবারে ভাঙনের খবর নিয়ে এতদিন ছিল জোর চর্চা। ২০২৩-এর শেষ থেকেই শোনা যেতে শুরু করে যে, আলাদা হচ্ছেন ঐশ্বর্য ও অভিষেক। এখানেই শেষ নয়, শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে না বৃন্দা রাইয়ের কাছে চলে গিয়েছেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী, এমনও দাবি করা হয় একাধিক রিপোর্টে। কখনো অভিষেকের ‘পরকীয়া’র খবর আসে, তো কখনো আবার শোনা যায়, ননদ ও শাশুড়ি অর্থাৎ জয়া বচ্চন ও শ্বেতা বচ্চন নন্দার সঙ্গে নাকি মিলমিশ হচ্ছে না বহুরানির।
জানেন কি, একবার সরাসরি সম্পত্তি বন্টন নিয়ে কথা বলেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। কীভাবে ছেলে ও মেয়েকে ভাগ করে দেবেন যাবতীয় কিছু, তা নিজেই জানিয়েছিলেন। বিগ বি জানান, ‘যখন আমি মারা যাব, তখন আমার যা কিছু আছে সব আমার ছেলে-মেয়ের মধ্য সমানভাগে ভাগ করে দিয়ে যাব।’
২০২৪ সালের এক রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমানে অমিতাভের সম্পত্তির পরিমাণ হল ১,৬০০ কোটি। রেডিফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০১১ সালে অমিতাভ জানান, ‘যখন আমি মারা যাব, আমার ছেলে ও মেয়ে, অমিতাভ ও শ্বেতার মধ্যে সব ভাগ করে দিয়ে যাব। কোনো কম-বেশি হবে না। আমি আর জয়া অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলাম। মেয়ে পরের ধন, অনেক ক্ষেত্রেই হিসেবে দেখা হয়, সে নাকি বিয়ের পর বরের পরিবারের লোক হয়ে যায়, কিন্তু আমাদের কাছে সে সবসময়ই আমার মেয়ে আমারই থাকবে, আর অভিষেকের মতোই সমান অধিকার থাকবে ওর।’
শ্বেতা বচ্চন নন্দা সম্পর্কে:
কদিন আগে শোনা গিয়েছিল যে মেয়ে শ্বেতার নামে নিজের বাংলো প্রতীক্ষা লিখে দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। অমিতাভ বচ্চনের বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন এই বাংলোটি উপহার দিয়েছিলেন ছেলেকে। এই বাড়িতেই অমিতাভ থাকতেন একসময় তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে একটি গিফ্ট ডিড সই করা হয়েছে বলেই খবর। এমনকী গিফ্ট ডিডের নথির ছবিও প্রকাশ্যে আসে। সঙ্গে জানা যায়, এই গিফ্ট ডিডের জন্য ৫০.৬৫ লাখ টাকা স্ট্যাম্প ডিউটি দেওয়া হয়েছে। সেক্ষত্রে অমিতাভের আরেক বাংলো জলসা যাবে অভিষেকের হাতে।
একসময় মডেলিং করতেন শ্বেতা বচ্চন নন্দা। বর্তমানে তিনি ইন্টিরিয়র ডিজাইনার, লেখিকা। ১৯৯৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেছিলেন দিল্লির ব্যবসায়ী নিখিল নন্দাকে। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে মেয়ে নভ্যা নভেলি নন্দা ও ছেলে অগস্ত্য নন্দা। নভ্যা বাবার ব্যবসায় যোগ দিলেও, অগস্ত্য মামা-দাদুর পথ ধরে পা রেখেছেন বলিউডে।