ভাবতে অবাক লাগলেও আজ থেকে বছর খানেক আগে কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। ১৯৯৯ সালে নিজের কোম্পানি এবিসিএল (অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন লিমিটেড)-এর জন্য বাজারে প্রচুর টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল বলিউড শাহেনশার। মূলত ফিল্ম প্রযোজনা এবং ডিস্ট্রিবিউশনের সঙ্গে জড়িত এই কোম্পানি এতটাই আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিল যে পথে বসার হাল হয় বচ্চন পরিবারের। ২০১৩ সালে এক সাক্ষাত্কারে জীবনের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছিলেন অমিতাভ বচ্চন।
অমিতাভ এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে টেনে তুলে এনেছিলেন, ফের বলিউডের মানচিত্রে নিজেকে সফর অভিনেতা, সঞ্চালক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। শুরুটা হয়েছিল যশ রাজ ফিল্মসের ‘মহব্বতেঁ’র সঙ্গে, এছাড়াও টেলিভিশন গেম শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ও বিগ বি-কে অনেকখানি আর্থিক স্থিরতা দিয়েছিল।
২০১৩ সালে মেইল টুডে-কে অমিতাভ জানিয়েছিলেন বাজারে মোট ৯০ কোটি টাকার দেনা ছিল তাঁর। ‘আমি প্রত্যেককে তাঁদের প্রাপ্য টাকা শোধ করেছি, একে একে-দূরদর্শনকেও। যখন তাঁরা আমার থেকে সুদের টাকা দাবি করেছিল, পরিবর্তে আমি তাঁদের হয়ে বিজ্ঞাপনে কাজ করে দিয়েছিলাম। আমি কোনওদিন ভুলতে পারব না, কেমনভাবে পাওনাদাররা এসে আমার দরজায় হাজির হতো, ভয় দেখাত, হুমকি দিত, গালিগালাজ করে টাকা চাইত’, চাপা গলায় বলেন অমিতাভ বচ্চন।
বিগ বি যোগ করেন, ‘নিঃসন্দেহে আমার ৪৪ বছরের পেশাদার জীবনের অন্যতম কালো অধ্যায় ওটা। সেটা আমাকে ভাবিয়েছিল, আমার সামনে থাকা বিকল্পগুলো নিয়ে এরপর আমি ভাবনাচিন্তা শুরু করি।আমি ভাবলাম, আমি অভিনয়টা করতে পারি এবং যশজি (চোপড়া)-র বাড়িতে হেঁটে পৌঁছে যাই। আমার বাড়ির পিছনেই ওঁনার বাড়ি। আমি সরাসরি ওঁনার কাছে গিয়ে কাজ চাই। এরপর মহব্বতেঁ-র ডাক আসে’।
৭৮ বছর বয়সী অমিতাভ বর্তমানে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা। তাঁর হাতে রয়েছে একের পর এক ছবি। গত বছর ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মে সফর শুরু করেছেন শাহেনশা, আমাজন প্রাইম ভিডিয়োতে গত বছরই মুক্তি পায় ‘গুলাবো-সিতাবো’। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে অমিতাভের ‘চেহরে’, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, ‘মে-ডে’-র মতো ছবি।
শীঘ্রই কৌন বনেগা ক্রোড়পতির-র ১৩ নম্বর সিজন নিয়ে ছোটপর্দাতেও ফিরবেন অমিতাভ বচ্চন।