সমাজকর্মী বিজয় বারসের জীবনের উপর ভিত্তি করেই ‘ঝুন্ড’ ছবির গল্প। যিনি বস্তির বাচ্চাদের প্রেরণা দিয়েছিলেন ফুটবল টিম তৈরি করতে। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। ইতিমধ্যেই ছবি সমালোচকদের দল অকুন্ঠ প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে অমিতাভ অভিনীত এই ছবিকে। সম্প্রতি, দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ছবির শ্যুটিং চলাকালীন একটি মর্মস্পর্শী মুহূর্তের কথা তুলে ধরলেন 'শাহেনশাহ'।
উল্লেখ্য, অমিতাভের সঙ্গে ছবিতে অভিনয় করা শিশু ও কিশোরের দল বাস্তবেও বস্তির অধিবাসী। নামমাত্র অভিনয়ের ওয়ার্কশপ করিয়ে তাঁদের ক্যামেরার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক। যদিও তাতে বিন্দুমাত্র অসুবিধে হয়নি। ছবি সমালোচকদের পাশাপাশি আমির খানও মুগ্ধ তাঁদের অভিনয় দক্ষতা দেখে। এবার একই সুর শোনা গেল স্বয়ং 'বিগ বি'-র মুখেও।
বলিউড হাঙ্গামা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘ঝুন্ড’-এর শ্যুটিং নিয়ে আলোচনা করাকালীন এক মর্মস্পর্শী ঘটনার কথা তুলে ধরেন অমিতাভ, যা দেখে ও শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেছিলেন তিনি। ভীষণভাবে তাঁর মনে দাগ কেটে গিয়েছিল সেই ঘটনা। বলি-তারকার কথায়, 'ছবিতে এমন একটি দৃশ্য রয়েছে, যেখানে ওই শিশু ও কিশোরদের কাঁদতে দেখা যাবে। ওই সিকোয়েন্সের শ্যুটের আগে আমার কাছে ওই দল থেকে একটি বাচ্চা এগিয়ে এল। এসে আমাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করে বসল, ' আছে স্যার, আপনি কাঁদেন কী করে?' শোনামাত্রই চমকে গিয়েছিলাম। স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম এটা ভেবে ওই কথাটুকুর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ঠিক কতটা যন্ত্রনা। মানে এই শিশু বয়সেই সে এমন পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে যে কাঁদতে পর্যন্ত ভুলে গিয়েছে! হয়ত যে পরিবেশে তাঁর বড় হয়ে ওঠা তা এতটাই কঠিন ও নিষ্ঠুর যে কান্নাকাটি করার ঊর্ধ্বে চলে গিয়েছে।'
কথা শেষে অমিতাভ বলতে ভুললেন না যে এই ছবির আসল সম্পদ ওই শিশু এবং কিশোর অভিনেতার দল। ওঁরাই এই ছবির সাফল্যের মূল কান্ডারি। 'বিগ বি'-র কথায়, ' ওঁরা অসম্ভব প্রতিভাবান। কী অসাধারন অভিনয় করেছে বাচ্চাগুলি।'