বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের পারিবারিক পুরোহিতের সঙ্গে ইউপি পুলিশের বচসাকে ঘিরে রবিবার উত্তেজনা বিন্ধ্যাচল মন্দির চত্বরে। এদিন উত্তর প্রদেশের বিন্ধ্যাচলের বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীর সঙ্গে কথাকাটাকাটির পর হাতাহাতি শুরু হয়। পুলিশকর্মীরা ঘিরে ধরে মন্দিরের সিঁড়িতেই মারধর করেন বর্ষীয়ান পুরোহিতকে।
লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে, চান্দুলি জেলা শাসক ও তাঁর পরিবারকে এসকর্ট করে মন্দিরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশবাহিনী। এবং সেখানে লকডাউন থাকা সত্ত্বেও পূজা-অর্চনা করা হয়। জেলাশাসক পুজো দিচ্ছেন দেখে, পুরোহিতরাও দেবীর কাছে পুজো দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু তাঁদের সেই দাবি মানতে অস্বীকার করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা। এরপরই তর্কাতর্কি বেঁধে যায় দুপক্ষের, তা পরবর্তীতে হিংসাত্মক হয়ে উঠে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই মামলায় কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরে পৌঁছান চন্দেলির জেলাশসক ও তাঁর পরিবার। এরপর দর্শনের পর্ব মেটে। বচ্চন পরিবারের পুরোহিত অমিত পাণ্ডে অনান্য পুরোহিতদের নিয়ে পূজা-অর্চনার জন্যই মন্দিরে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু লকডাউনের জন্য তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। এরপরই বচসা শুরু হয়। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
অমিত পাণ্ডে শুধু বচ্চন পরিবারই নয়, গান্ধী পরিবারেরও পূর্জা-অর্চনার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাঁর ভাই সুমিত পাণ্ডের অভিযোগ পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের মারধর করেছে এবং পরবর্তীতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘সমাজে আমাদের একটা মান-ইজ্জত আছে, সকলে সম্মান করে আমাদের’।
যদিও জেলার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সঞ্জয় বর্মা এই ঘটনা অস্বীকার করে জানান, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি যেখানে কোনও আধিকারিককে পুলিশবাহিনী এসকর্ট করে মন্দিরে নিয়ে গেছে পুজোর জন্য। তাঁর কথায়, একজন পুরোহিত মন্দিরে পুজো সারছিলেন,সেই সময় অমিত পাণ্ডে অপর দর্শনার্থীদের ভিতরে ঢোকাবার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ'।