জুলাই মাসে করোনা আক্রান্ত হন বিগ বি। রাতের ঘুম উড়েছিল ভক্তদের। প্রায় ২০ দিন হাসাপাতালে ভর্তি ছিলেন শাহেনশা। তবে পর্দায় যেমন ভিলেনদের হেলায় হারিয়ে দেন ‘অ্যাংরি ইয়াংম্যান’, তেমনই করোনা যুদ্ধেও সাফল্যের সঙ্গে জয়ী হন ৭৭ বছর বয়সী এই তারকা। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার অভিজ্ঞতার কথা এবার শেয়ার করলেন বিগ বি। ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ শ্যুটিং চলাকালীন সেটে এক প্রতিযোগী হঠাৎই এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন তাঁকে।
অপর্না ব্যাস, মধ্যপ্রদেশের এক স্কুল শিক্ষিকা। কথা বলতে সমস্যা হয় তাঁর। অপর্না জানান, প্রতিদিন নিজের শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা চেক করেন তিনি। তিনি এও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাত্রায় কম থাকে, অক্সিমিটার রিডিং ৯৫-৯৬ তে এসে ঠেকে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা প্রতিযোগীর অভিজ্ঞতা জানার পর, নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন বিগ বি। তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় যখন তিনি মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সেইসময় প্রতি দু ঘণ্টা অন্তর তাঁর শারীরে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা হত, তা কমে গেলে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিত নার্সিং হোমের স্টাফরা। নার্সরা তাঁকে অক্সিমিটার রিডিং চেকাপের সময় বুঝিয়েছিলেন এটি কীভাবে তা মাপা হয়! তাঁকে বলা হয়েছিল সুস্থ হতে চাইলে অক্সিমিটার রিডিং থাকতে হবে ৯৮। তবে প্রতিবারই চেকাপের সময় রিডিংয়ে তাঁর মাত্রা দেখাত ৯২-৯৩। সেক্ষেত্রে তিনি ঠিক করছিলেন যথনই তাঁকে চেকআপ করা হবে তিনি জোরে জোরে শ্বাস প্রশ্বাস নেবেন যেন তাঁর অক্সিমাটারের রিডিং বেড়ে ৯৮ হয়ে যায়। চেকাপের সময় এটা যখনই তিনি করতেন নার্সিং হোমের স্টাফ এবং তিনি দুজনেই হেসে ফেলতেন।
প্রসঙ্গত, জুলাইয়ের মাঝামাঝি অমিতাভ, অভিষেক, ঐশ্বর্য ও আরাধ্যা- বচ্চন পরিবারের চার সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রায় কুড়ি দিন মুম্বইয়ের লীলাবতি হাসপাতালে ভর্তি ছি্লেন বিগ বি, অভিষেককে আরও বেশিদিন থাকতে হয় হাসপাতালে। পুত্রবধূ ঐশ্বর্য এবং নাতনি আরাধ্য শুরুতে হোম আইসোলেশনে থাকলেও তাঁদেরও দিনকয়েকের জন্য হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। সুুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে কাটিয়ে ফের কাজে ফেরেন বিগ বি।