বিগত প্রায় বছরখানেক ধরে চলছে অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাইয়ের ডিভোর্সের জল্পনা। সম্প্রতি তো রাই সুন্দরী তাঁর নামের পাশ দিয়ে বচ্চন পদবীও সরিয়ে দিয়েছেন যা জল্পনাকে আরও বাড়িয়েছে। কিন্তু সেসবের মধ্যেই তাঁদের দুজনকে সম্প্রতি এক ফ্রেমে দেখা গেল। আর এবার ইঙ্গিতবহ বার্তায় কী লিখলেন অমিতাভ বচ্চন?
কী লিখেছেন অমিতাভ?
এদিন বিগ বি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি অর্থবহ পোস্ট করেন যদিও কারও নাম না নিয়ে সেখানেই তিনি 'বোকা এবং অল্পবুদ্ধি'দের এক হাত নিয়েছেন। এদিন অমিতাভ বচ্চন তবে একটি পোস্টে প্রথমে লেখেন, 'T ৫২১৬- যাঁরা গল্প রটায়, প্রতিটা শব্দের নিজের মতো অর্থ বের করে নেয় তাঁরা নিজেদের ব্যক্তি জীবনের সমস্যাকে সেগুলোর আড়ালে লুকাতে চায়।'
এরপর তিনি আরও একটি পোস্টে লেখেন, 'বোকা এবং যাঁরা অল্পবুদ্ধি তাঁদের অভাব নেই এই দুনিয়ায়। তাঁরা তাঁদের নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের বিবেকহীন, কম বুদ্ধির কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে আড়াল করার জন্য রোজ রোজ নিজেদের অসম্পূর্ণ জাল তৈরি করে।'
যদিও তিনি কেন এমন ইঙ্গিতবহ পোস্ট করেছেন সেটা স্পষ্ট নয়। কিন্তু এই পোস্টটা তিনি তখনই করলেন যখন মাত্র একদিন আগেই অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাইকে একসঙ্গে এক ফ্রেমে একটি অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। তাঁদের দুজনকে একটি বিয়ে বাড়িতে দেখা গিয়েছে এদিন। ঐশ্বর্য সেখানে একটি কালো রংয়ের পোশাক পরেছিলেন। অন্যদিকে অভিষেক পরেছিলেন কালো স্যুট। দুজনে যে টুইনিং করেছিলেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত এই প্রথম অমিতাভ বচ্চন যে এমন ইঙ্গিতবহ পোস্ট করেছেন সেটা নয়। এর আগেও তিনি একটি পোস্টে লিখেছিলেন, 'প্রচণ্ড সাহস, সততা এবং ধৈর্য লাগে আলাদা হয়ে এবং সেটার জীবনে উপস্থিতির জন্য। আমি আমার পরিবার নিয়ে সেভাবে কথা বলি না। কারণ আমি এই বিষয়ে প্রাইভেসি বজায় রাখতে চাই। যা গুজব সেটা গুজবই। সেগুলো মনগড়া মিথ্যে তাও যাচাই না করে। যাচাই করতে চান অনেকেই যাতে তাঁরা যা লিখছেন বা ছড়াচ্ছেন সেটা সঠিক হয়। তাঁরা স্বেচ্ছায় যে পেশা বেছে নিয়েছেন সেটাকে আমি চ্যালেঞ্জ করতে চাই না। আমি বরং তাঁরা যেভাবে সমাজের জন্য কাজ করছেন সেটার প্রশংসা করতে চাই। কিন্তু মিথ্যে বা কিংবা প্রশ্ন চিহ্ন দিয়ে কিছু লিখে দিলে সেটা আইনি দিক থেকে তাঁদের বাঁচিয়ে দেবে। কিন্তু যে সন্দেহের বীজ তাঁরা বপন করছেন সেটা নিয়েই আসল প্রশ্ন থেকে যায়।'
ঐশ্বর্য রাই এবং অভিষেক বচ্চন ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। ২০১১ সালে জন্মায় তাঁদের মেয়ে আরাধ্যা। কিন্তু চলতি বছরের গোড়া থেকে শোনা যেতে থাকে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের জল্পনা। যদিও এই বিষয়ে তাঁরা কেউই মুখ খোলেননি।