দীপক সাওয়ান্ত গত ৫০ বছর ধরে অমিতাভ বচ্চনের সাথে কাজ করছেন। অভিনেতার অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী তিনি। দুর্দিনেও অমিতাভকে ছেড়ে যাননি। দীপক সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, অমিতাভ নিঃশব্দে সমাজের জন্য অনেক কাজ করেন। দেখনদারি পছন্দ নয় শাহেনশার, তাই চুপিসাড়েই দেশবাসীর পাশে দাঁড়ান।
দীপক সাওয়ান্ত জানান, অমিতাভ বচ্চনের কারণেই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করেছেন। 'রিল মিটস রিয়েল পডকাস্ট'-এ এক বিশেষ কথোপকথনের সময় দীপক সাওয়ান্ত বলেন, একসময় অমিতাভ বচ্চন গুজরাটে ছিলেন। এরপরই অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে দেখা করতে আসেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গেও দেখা করেন দীপক। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ছবি তুলতে চান দীপক, তিনি বলেন, ‘একদিন আমরা গুজরাটে ছিলাম। মোদীজি গুজরাতে অমিতজির সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। আমি কখনো ওঁনার (অমিতাভ) অনুষ্ঠানে যাই না। সেদিন আমি মোদীজির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমি যখন অমিতজির সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন আমি মোদীজিকে বলেছিলাম যে আমি আপনার সঙ্গে ছবি তুলতে চাই। আমি অমিতজির মেকআপ আর্টিস্ট’।
দীপক বলেন, সেদিন থেকে দেশের প্রতি আমার ভালোবাসা আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তৎক্ষণাত দীপককে তাঁর নাম ধরে সম্বোধন করেন। বলেন,'দীপক সাওয়ান্ত আসুন। আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম, ঘাবড়ানোর কারণও ছিল। আমি ভেবেছিলাম তিনি কীভাবে আমার নাম জানবেন কারণ আমি পার্টি বা অন্য কিছুতে যাই না। দীপক জানান, ওই দিনের পর থেকে দেশের প্রতি ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়।' যদিও কীভাবে মোদীজি দীপকের নাম জানলেন সেই রহস্যের সমাধান দীপক নিজেও করতে পারেননি।
অমিতাভকে নিয়ে কী বললেন দীপক? এই কথোপকথনের সময় দীপক বলেন, অমিতাভ বচ্চন মনে করেন, তাঁর কারণে ইউনিট বা প্রযোজকের কষ্ট হওয়া উচিত নয়। তিনি সেটে তাঁর নির্দিষ্ট সময়ের আধা ঘন্টা আগে পৌঁছে যান। তিনি দৃশ্যটি ৫০ বার পড়েন। ৭-৮ বার রিহার্সাল করেন। তাঁর প্রথম শটটাই সেরা শট। তিনি যেভাবে কাজ করেন, সেই পেশাদারিত্বের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির কারও তুলনা হয় না'।