উত্তর প্রদেশের ডাটাগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে নিখিল নন্দার নামে। কেবল তিনি নন, তাঁর সঙ্গে অভিযোগে নাম আছে একটি ট্র্যাক্টর কোম্পানির একাধিক কর্তাব্যক্তিদের। জালিয়াতি এবং আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অমিতাভ বচ্চনের জামাইয়ের নামে।
আরও পড়ুন: স্থগিত কনসার্ট, অসহ্য পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে শাকিরা! কী হয়েছে?
কী ঘটেছে?
ইটিভি ভারতের রিপোর্ট অনুযায়ী এই কেসটি দায়ের করা হয়েছে কোর্টের নির্দেশ সহ যেখানে নাম আছে এই কোম্পানির CMD নিখিল নন্দা, কম্পানির ইউপির হেড , এরিয়া ম্যানেজার, সেলস ম্যানেজার, সহ আরও ৪ কর্তার নামে। সেই অভিযোগে জানানো হয়েছে এঁরা মিলে নাকি একজন ট্র্যাক্টর এজেন্সির মালিক জিতেন্দ্র সিংকে আত্মহত্যার প্ররোচনা এবং উসকানি দিয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, জ্ঞানেন্দ্র নামক এক ব্যক্তি এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি পাপড় হামজাপুর নামক একটি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর ভাই জিতেন্দ্র সিং জয় কিষাণ ট্রেডার্স নামক একটি ট্র্যাক্টর এজেন্সি চালাতেন ডাটাগঞ্জে। প্রথমে তাঁর সঙ্গে এই ব্যবসায় একজন পার্টনার ছিলেন তাঁর, নাম লাল্লা বাবু। পারিবারিক কারণে লাল্লা বাবুর জেল হলে জিতেন্দ্র একাই এই এজেন্সি সামলাতেন।
এই অভিযোগে জ্ঞানেন্দ্র জানিয়েছেন যে নিখিল নন্দা নাকি তাঁর অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মী কেমন আশিষ বলিয়ান (এরিয়া ম্যানেজার), সুমিত রাঘব (সেলস ম্যানেজার), দীনেশ পন্থ (উত্তর প্রদেশের হেড), পঙ্কজ ভাস্কর, অমিত পন্থ, নীরজ মেহরা, শিশান্ত গুপ্ত প্রমুখ মিলে জিতেন্দ্রকে চাপ দিচ্ছিলেন বিক্রি বাড়ানোর জন্য। শুধু তাই নয় তাঁকে রীতিমত হুমকি দেওয়া হতো যে তাঁর ডিলারশিপ লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। এমনকি টার্গেট না পূরণ করতে পারলে তাঁর সম্পত্তি পর্যন্ত নিলাম করে দেওয়া হতে পারে।
গত ২১ নভেম্বর এই উক্ত কোম্পানির লোকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। আরও চাপ দেন। এরপরের দিনই, ২২ নভেম্বর সেই কঠিন সিদ্ধান্ত নেন জিতেন্দ্র। নিজের জীবনকে থামিয়ে দেন। এর আগেও পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপর কোর্টের নির্দেশ আসায় নতুন করে সকল অভিযুক্তের নামে কেস করা হয়েছে।
মৃতের বাবা জানিয়েছেন যে তাঁরা জানতেন না নিখিল নন্দার জড়িত থাকার কথা। তবে তাঁরও দাবি এই কোম্পানির লোকজনই তাঁর ছেলেকে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।