একেই বোধহয় বলে নাড়ির টান! ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর শোক সামলে উঠতে পারলেন না ইরফান খান। থেমে গেল অভিনেতার জীবনযুদ্ধ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে জীবনের মঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন ইরফান খান।
শনিবার মৃত্যু হয়েছিল ইরফান খানের মা সাইদা বেগমের। তিনদিন পরেই চলে গেলেন ইরফান। মৃত্যুর শেষ মূহূর্তেও মায়ের কথাই স্মরণ করছিলেন ইরফান। সূত্রের খবর, 'আম্মা আমাকে নিতে এসেছে', এই কথা বলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলিউডের মকবুল। আর ফেরানো যায়নি তাঁকে। কারণ না-ফেরার দেশেই হয়ত মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চলে গিয়েছেন ইরফান খান।
মঙ্গলবার কোলনে সংক্রমণ নিয়ে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপতালে ভর্তি করা হয় ইরফান খানকে। জানা গিয়েছিল আইসিইউতে রয়েছেন অভিনেতা। বুধবার সকালে আমকাই এল মৃত্যুর খবর।
এদিন পরিবারের তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, 'পরিবারের সকলে ইরফানকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাঁর অকাল প্রয়াণে সবাই ভেঙে পড়েছেন। আমরা সবাই তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। আমরা জানি আজ ও আরও ভালো কোনও জায়গায় রয়েছে। ইরফান শেষ মূহূর্ত অবধি লড়াই চালিয়েছে, কারণ ও ফাইটার। আমাদেরও মন শক্ত করতে হবে'।
শনিবার জয়পুরে মারা যান ইরফান খানের মা সাইদা বেগম। লকডাউনের জন্য মায়ের শেষকৃত্যে হাজির থাকতে পারেননি ইরফান। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শেষ বার মায়ের দর্শন সারেন। সাইদা বেগমের বড়ছেলে ইরফান খান। তাঁর দুই ভাই রয়েছেন ইমরান ও সলমন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরফান খানের নিউরো এন্ডোক্রিন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসে, এরপর দীর্ঘ সময় লন্ডনে চিকিত্সা চলেছে ইরফান খানের। গত বছর এপ্রিলে ভারতে ফিরেছিলেন অভিনেতা। প্রয়াত অভিনেতা রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী সুতপা শিকদার ও দুই পুত্র বাবিল ও অয়নকে।
শারীরিক অসুস্থতার জন্যই দীর্ঘ সময় ধরে রুপোলি পর্দা থেকেও দূরে ছিলেন ইরফান। ক্যানসার জয় করে বক্স অফিসে ইরফানের কামব্যাক হয়। তাঁর শেষ ছবি ছিল আংরেজি মিডিয়াম। ১৩ মার্চ মুক্তি পেয়েছিল সেই ছবি।